ইনফো দিন

ইনফো দিন

58 comments:

  1. ফাজায়েল ছাদাকাত ১ম ও ২য় খণ্ড তাবলিগি কুতুবখানা
    মৃত্যুর সময় ও স্থান সম্পর্কে তাবলীগ জা'আমাতের কিতাবে শিরকি ও কুফরী আকীদাহঃ
    তাবলীগ জামা'আতের 'ফাজায়েল সাদাকাত' নামক কিতাবে শাইখুল হাদিস যাকারিয়া সাহারানপুরি সাহেব মানুষের উপদেশের জন্য কুরআনের বিভিন্ন আয়াত ও হাদীস উল্লেখ করেছেন। এবং নেক আমলে উৎসাহ প্রদানের জন্য বিভিন্ন গল্প কাহিনীর সমাহার ঘটিয়েছেন। যার কোনো কোনটি শিরক ও কুফুরীর অন্তর্ভুক্ত। আমরা অত্র লেখায় এমনই তিনটি বর্ণনা উল্লেখ করবো যেখানে পরিস্কার শিরক ও কুফর রয়েছে।
    ঘটনাঃ ১
    ''শায়েখ আবু ইয়াকুব ছনুছি (রঃ) বলেন, আমার একজন মুরীদ আমার নিকট আসিয়া বলিল, ‘’আমি আগামিকাল জোহরের সময় মরিয়া যাইব’’, তাহার কথামত অপর দিন জোহরের সময় সে হারাম শরীফে আসিল ও তাওয়াফ করিল ও কিছু দুরে গিয়া মরিয়া গেল। আমি তাহাকে গোসল দিলাম ও দাফন করিলাম। যখন তাহাকে কবরে রাখিলাম সে তখন চোখ খুলিল। আমি বলিলাম মউতের পরও জীবিত থাকা যায় না কি? সে তখন বলিল আমি জীবিত আছি এবং আল্লাহ্‌র প্রতিটি প্রেমিকই জীবিত থাকেন'' ফাজায়েল ছাদাকাত- জাকারিয়া সাহারানপুরি; অনুবাদক মোঃ ছাখাওয়াত উল্লাহ; ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা নঃ ২৭০; তাবলিগী কুতুবখানা ১৪২৬ হিজরি

    ReplyDelete
  2. ঘটনাঃ ২
    ''জনৈক ব্যাক্তি বলিলেন, আমি হজরত মমশাদ দুনইউরীর খেদমতে বসিয়া ছিলাম ইত্যবসরে একজন ফকির আসিয়া বলিলঃ ‘’এখানে কি পাক পবিত্র কোনও জায়গা আছে? যেখানে কোনও লোক মরিতে পারে?’’ হজরত মমশাদ একটি জায়গার দিকে ইশারা করিলেন যেখানে একটি ঝরনা ছিল। লোকটি সেখানে গিয়া অযু করিল নামায পড়িল ও পা লম্বা করিয়া শুইয়া পড়িল ও মরিয়া গেল'' ফাজায়েল ছাদাকাত- জাকারিয়া সাহারানপুরি; অনুবাদক মাওলানা মোঃ ছাখাওয়াত উল্লাহ; ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা নঃ ২৬৬; তাবলিগী কুতুবখানা ১৪২৬ হিজরি
    ঘটনাঃ ৩
    ‘’আবু আলী রোদবারী (রহঃ) বলেন, ঈদের দিন একজন ফকির আসিয়া আমাকে বলিলঃ এখানে এমন কোন পরিস্কার জায়গা আছে কি, যেখানে কোন ফকির মরিতে পারে? আমি তাহাকে বাজে কথা মনে করিয়া বলিলামঃ আসো, ভিতরে আসিয়া যেখানে ইচ্ছা সেখানে মর। সে ভিতরে আসিয়া অজু করিয়া কয়েক রাকাআত নামাজ পড়িল ও মরিয়া গেল। আমি তাহার কাফন দাফনের ব্যাবস্থা করি। দাফনের পর আমার খেয়াল হইল কাফন হটাইয়া তাহার মুখ জমিনের মধ্যে রাখিয়া দেই, যেন আল্লাহ পাক তাহার দারিদ্রতার উপর রহম করেন। তাহার মুখ খুলিতেই সে চোখ খুলিয়া ফেলিল। আমি বলিলামঃ মৃত্যুর পরেও জীবন? সে বলিলঃ আমি জীবিত ও আল্লাহর প্রত্যেক আশেকই জীবিত থাকেন। আমি কাল কেয়ামতে স্বীয় প্রতিপত্তিতে তোমার সাহায্য করিব’’ফাজায়েলে সাদাকাত- জাকারিয়া সাহারানপুরি; অনুবাদক ছাখাওয়াত উল্লাহ; ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা নঃ ২৮০; তাবলিগী কুতুবখানা; সংশোধিত সংস্করন ১৪২৬ হিজরী
    উপরোক্ত গল্প তিনটির মাধ্যমে আমরা যা বুঝতে পারিঃ

    ReplyDelete
  3. 1. সেই মুরিদ তার নিজের মৃত্যুর সময় ও স্থান জানতেন!
    2. মৃত্যুর পরও মৃত ব্যাক্তি জীবিতদের সাথে কথা বলে!
    3. মানুষ মরণশীল, কিন্তু আল্লাহর প্রেমিক মরে না!
    উপরোক্ত বিষয়গুলির মধ্যে তৃতীয় ঘটনা থেকে আরও অতিরিক্ত বুঝা যায়ঃ
    4. মুর্দার মুখ জমিনের উপর রাখিয়া দিলে আল্লাহ রহম করেন!
    5. কিয়ামতে ফকিরেরা নিজের প্রভাব ও প্রতিপত্তি খাটিয়ে সাহায্য করার ক্ষমতা রাখেন!
    উপরোক্ত পাঁচটি পয়েন্টই কুরআন ও হাদীস বিরোধী আকীদাহ। পাঁচটি পয়েন্ট একসাথে খণ্ডন করতে গেলে লেখাটা অনেক লম্বা হয়ে যাবে! হয়তো সম্মানিত পাঠকেরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলবেন। সুতরাং আজকে আমরা শুধুমাত্র প্রথম পয়েন্ট সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আর বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে ইন শা আল্লাহ।
    মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো মরনের সময় ও স্থান সম্পর্কে জানার ক্ষমতা আছে কি???
    আমরা সাধারনভাবে সবাই জানি- মানুষের মৃত্যু কখন, কোথায় ও কিভাবে ঘটবে তা মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ জানে না। কিন্তু উপরোক্ত দুটি ঘটনায় দেখা যাচ্ছে ‘আল্লাহ ছাড়া মানুষেরাও জানার ক্ষমতা রাখে'! মজার বিষয় হচ্ছে, এই সমস্ত তথাকথিত 'আল্লাহর প্রেমিকেরা' মরনের সময়, স্থান ইত্যাদি গায়েবের খবর জানেন অথচ দৃশ্যমান কোনো পাক-পবিত্র জায়গা খুজে পেতে অক্ষম, যার কারনে তারা অন্যকে জিজ্ঞেস করেন 'এখানে কোনো পাক পবিত্র জায়গা আছে কি?
    'আল্লাহর খাস ওলীরা আগে থেকেই তাদের মৃত্যুর সময় জানতে পারে"!!! কিন্তু হাস্যকর ব্যাপার লক্ষ্য করুন, যিনি এত বড় ওলী(!) তিনি কত বড় অন্ধ যে, একটা পাক-পবিত্র যায়গা খুজতে অক্ষম!!! যিনি এত বড় গায়েবের খবর যানেন তার পক্ষে এটা কতটুকু শোভনীয়!!!
    যাই হোক যুক্তি আমাদের দলীল নয়, আমাদের পুঁজি কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ। আসুন আমরা কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে উপরোক্ত গল্প যাচাই করি। নিম্নে আমরা আমাদের দলীলগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি ইন শা আল্লাহ।
    কখন মরন আসবে মানুষের তা জানা নেইঃ
    মানুষের মরন কখন, কোথায়, কিভাবে ঘটবে তা মানুষ জানে না এবং জানার কোন উপায়ও নেই। আল্লাহ্‌ সে বিষয়ে কাউকে অবগত হতে দেননি। বিষয়টা সম্পুরনরুপে আল্লাহ্‌র এখতিয়ারভুক্ত। যেমন- কে, কখন, কোথায় জন্মগ্রহন করবে, কি কি কাজ করবে, কতটুকু বয়স পাবে, কতবার শ্বাস গ্রহন করবে, কখন, কোথায়, কিভাবে মারা যাবে, কোথায় সমাধিস্থ হবে ইত্যাদি আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কেউ জানে না।
    আল কুরআনে মহান আল্লাহ্‌ তা’য়ালা বলেনঃ ''কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহ্‌র নিকটই আছে, তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন, জরায়ুতে কি আছে তা তিনিই জানেন। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি অর্জন করবে, কেউ জানে না সে কোন জায়গায় মারা যাবে। আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, সর্বাধিক অবহিত'' লুকমান ৩১/৩৪
    রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের হাদিসঃ
    ইবন উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সঃ) বলেছেনঃ ''গায়েবের চাবি হল পাঁচটি, যা আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কেউ জানে নাঃ ১/ কেউ জানে না যে, আগামীকাল কি ঘটবে। ২/ কেউ জানে না যে, আগামীকাল সে কি অর্জন করবে। ৩/ কেউ জানে না যে, মায়ের গর্ভে কি আছে। ৪/ কেউ জানে না যে, সে কোথায় মারা যাবে। ৫/ কেউ জানে না যে, কখন বৃষ্টি হবে'' বুখারি অধ্যায় ১৫/২৯ হাদিস নঃ ১০৩৯
    শেষ কথাঃ
    উপরোক্ত কুরআন ও হাদীস থেকে আমরা বুঝতে পারি, প্রতিটি প্রান কখন, কোথায় হরন করা হবে তা একমাত্র মহান আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। কেউ যদি বিশ্বাস করে যে আল্লাহ ছাড়া এই বিষয়ে অন্য কারো জানার ক্ষমতা রয়েছে তাহলে তা আল্লাহর সাথে শিরক ও কুফরে পরিনত হবে।
    এই বিষয়ে কুরআন ও হাদিস থেকে আরও দলীল-প্রমান উপস্থাপন করা সম্ভব। পাঠকের ধৈর্যচ্যুতির ভয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা না করে শুধুমাত্র একটি আয়াত ও একটি হাদিস পেশ করলাম। আমরা আশংকা করছি এরপরও হয়তো কিছু ভাই আমাদের বিরোধিতা করবেন। তাদের বিরোধিতা থেকে আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। সত্য সন্ধানীর জন্য একটি প্রমাণই যথেষ্ট, আর প্রবৃত্তির অনুসারির জন্য হাজারটা দলিলও যথেষ্ট নয়। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে কুরআন ও হাদিসের সঠিক জ্ঞান দান করুণ এবং সকল প্রকার শিরক, কুফরি ও বাতিল আকিদাহ থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

    ReplyDelete
  4. সামান্য একটু ভূমিকম্প, তাতেই সকলে
    যার যার ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বের
    হয়ে গেলাম দরজা খোলা রেখেই।
    আলমারি তালা মারা কিনা? স্বর্ণের
    গহনাগুলি কোথায়? ক্যাশ টাকাগুলি
    কোথায়? জমির দলিলগুলি ঠিক আছে
    তো? জরুরী কাগজপত্র, একাডেমিক
    সার্টিফিকেট এইসব কিছুর বিন্দু মাত্র
    মায়া না করে সকলে রাস্তায়। একবার
    ভেবে দেখুন তো, নি:স্ব অবস্থায়
    খালি হাতে রাস্তায় কারা থাকে?
    কিছুক্ষণের জন্য আমরা সকলেই তেমন
    অবস্থায় রাস্তায় ছিলাম।
    রাস্তায় থাকলেও, হয়তো আপনজন
    সাথেই ছিলো। সামান্য এই ভূমিকম্পেই
    সম্পদের মায়া ছেড়ে আমরা রাস্তায়
    ছিলাম। এটা যখন আরো বাড়বে, তখন
    সম্পর্কের মায়াও ছেড়ে দেবো আমরা।
    যখন তারচাইতেও আরো বাড়বে তখন
    যেই মা দুধ খাওয়াচ্ছেন তিনিও তার
    বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলে দেবেন, গর্ভের
    শিশুকেও বের করে দেবেন।
    ভূমিকম্প নিয়ে মজা করার কিছু নাই
    ভাই। ভূমিকম্পের সময় কে কি আবস্থায়
    ছিলাম, কে টের পেয়েছে, কে টের
    পায়নি, চেয়ার টেবিল নড়ছিলো
    কিনা, ফ্যান দুলছিলো কিনা- এই সব
    গবেষণা পরে করলেও হবে। আগে করা
    দরকার তওবা, আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা
    চাওয়া।
    "যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে ,
    যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।
    এবং মানুষ বলবে, এর কি হল ? সেদিন
    সে তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে, কারণ,
    আপনার পালনকর্তা তাকে আদেশ
    করবেন। সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে
    প্রকাশ পাবে, যাতে তাদেরকে
    তাদের কৃতকর্ম দেখানো হয়। অতঃপর
    কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা
    দেখতে পাবে এবং কেউ অণু পরিমাণ
    অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে। "
    - সূরা যিলযাল

    Copied

    ReplyDelete
  5. প্রশ্ন : ‘বালাগাল উলা বিকামালিহী, কাশাফাদ্দোজা বিজামালিহী, হাসুনাত জামীউ খিছালিহী, ছাল্লু ‘আলাইহি ওয়া আলিহী’ এটি নাকি আল্লাহপাক শেখ ফরীদুদ্দীন-এর শানে নাযিল করেছেন? কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে বিষয়টির সত্যতা জানতে চাই।
    উত্তর : প্রথমতঃ (বালাগাল ‘উলা বিকামালিহি) অর্থঃ হল, ‘রাসূল ফ তাঁর নিজ যোগ্যতায় উচ্চ মর্যাদায় উপনীত হয়েছেন’ (নাঊযুবিল্লাহ)। এই বাক্যের মাধ্যমে সরাসরি রাসূল ফ-এর প্রতি আল্লাহ্র রহমতকে অস্বীকার করা হয়েছে। কেননা রাসূল (ছাঃ) নিজের যোগ্যতায় নয়; বরং আল্লাহর অপার অনুগ্রহে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত হয়েছেন (নিসা ৪/১১৩)।দ্বিতীয়তঃ মহানবী (ছাঃ)-এর মাধ্যমে নবুওয়াত ও রিসালাতের সিলসিলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে জিবরীল (আঃ)-এর আগমনের প্রয়োজনীয়তাও শেষ হয়ে গেছে। রাসূল (ছাঃ)-এর পরে কোন পীর, অলী, গাওছ, কুতুবের কাছে জিবরীল (আঃ)-এর আগমনের কোন প্রমাণ কুরআন-হাদীছে নেই। এমনকি কোন ছাহাবীর কাছে জিবরীল (আঃ) এসেছেন এ মর্মে কোন আছারও নেই। বস্তুতঃ জিবরীল (আঃ) শুধু নবী-রাসূলগণের নিকটে আসতেন, অন্য কোন লোকের নিকটেনয় (বুখারী, মিশকাত হা/৫৮৪১)। তাহলে আল্লাহ তা‘আলা শেখ ফরীদুদ্দীনের কাছে কোন জিব্রাইলের মাধ্যমে উক্ত দরূদ নাযিল করলেন? মূলতঃ পারস্য কবি শেখ সা‘দী হাদীছে বার্ণিত দরূদ প্রত্যাখ্যান করে নবী করীম (ছাঃ)-এর উপর পাঠ করার জন্য এ বিদ‘আতী দরূদটি রচনা করেন। এ দরূদ যেমন ভিত্তিহীন তেমনি শেখ ফরীদুদ্দীন-এর শানে নাযিল হওয়ার ব্যাপারটিও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সুতরাং এ দরূদ পাঠ করা এবং এরূপ দাবী পরিত্যাগ করা একান্ত যরূরী।

    collected

    ReplyDelete
  6. যখন কোথাও ভূমিকম্প সংগঠিত হয় অথবা সূর্যগ্রহণ হয়, ঝড়ো বাতাস বা বন্যা হয়, তখন মানুষদের উচিত মহান আল্লাহর নিকট অতি দ্রুত তওবা করা, তাঁর নিকট নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা এবং মহান আল্লাহকে অধিকহারে স্মরণ করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা যেভাবে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্য গ্রহণ দেখলে বলতেন: “যদি তুমি এরকম কিছু দেখে থাক, তখন দ্রুততার সাথে মহান আল্লাহকে স্মরণ কর, তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর।”
    ( সহীহুল বুখারী ২/৩০, মুসলিম ২/৬২৮)

    ReplyDelete
  7. প্রশ্ন : আমাদের দেশের পীরের মুরীদদের অধিকাংশই এ কথা বলে যে, উকিল ছাড়া যেমন জজের কাছে যাওয়া যায় না, পীর ছাড়া তেমনি আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভ করা যায় না। কথাটির সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
    উত্তর : প্রশ্নে উল্লেখিত কথাগুলি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এ ধরনের আক্বীদা পোষণ করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। এ যুক্তিতে মহান সত্ত্বা আল্লাহ তা‘আলাকে তাঁর সৃষ্টি সাধারণ একজন জজের সাথে তুলনা করা হয়েছে (না‘ঊযুবিল্লাহ)। আল্লাহপাক বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও তাঁর নৈকট্য (অসীলা) অন্বেষণ কর এবং তাঁর রাস্তায় জিহাদ কর। তাহ’লেই তোমরা সফলকাম হবে’ (মায়েদা ৩৫)। পীরভক্ত মরীদরা উক্ত আয়াতের অপব্যাখ্যা করে পীরগণকে অসীলা বানিয়ে নিয়েছে। অথচ উক্ত আয়াতে অসীলা দ্বারা ইবাদত ও আমলের মাধ্যমে মহান আল্লাহ্র নৈকট্য লাভ করাকে বোঝানো হয়েছে। অত্র আয়াতে বর্ণিত ‘অসীলা’ শব্দের সঠিক ব্যাখ্যায় হযরত ক্বাতাদাহ (রাঃ) বলেন, تقربوا إليه بطاعته والعمل بما يرضيه অর্থ : ‘তোমরা আল্লহ্র নৈকট্য অন্বেষণ কর তাঁর আনুগত্যের মাধ্যমে এবং এমন আমলের মাধ্যমে, যাতে তিনি সন্তুষ্ট হন’ (ইবনু কাছীর ২/৫৫ পৃঃ; মুখতাছার তাফসীরুল মানার ২/৩২৮ পৃঃ)। অতএব ভণ্ড পীর-ফকীর ও পেটপুঁজারী সুবিধাভোগীরা ‘অসীলা’ শব্দের অর্থ পীর ধরা বলে অপব্যাখ্যা করে থাকে, যা সম্পূর্ণ মনগড়া ও মিথ্যা। কুরআন-সুন্নাহর সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। বরং আপনার ছালাত, আপনার ছিয়াম, আপনার যাকাত সহ যাবতীয় ইবাদত আপনার জান্নাতের যাওয়ার অসীলা; পীর নয়।

    ReplyDelete
  8. যত হুজুর তত ইসলাম-
    শায়খ মুফতী কাজী ইব্রাহীম বলেন, এই উম্মতের অনুসরনীয় ব্যক্তি শুধুমাত্র একজন। তিনি হলেন ইমামে আযম জনাব মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ(সাঃ)।
    কোন কাজী ইব্রাহীম নয়, কোন কামাল উদ্দিন জাফরী নয়, কোন জাকির নায়েক নয়। কনো হুজুর- মৌলভী নয়। সবাই অনুসারী হবো অনুসরণীয় নয়। অনুসরনীয় ব্যক্তি একজন। তিনি হলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ)।

    এই কথা কি কোন মাযহাবী আলিম বলতে পারেবন যে, কাউকে অনুসরণ করা যাবে না একমাত্র রাসুলুল্লাহ(সাঃ) ব্যতীত? এই সৎ সাহস তারাই দেখাতে পারে যারা একমাত্র রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সর্বক্ষেত্রে অনুসরণ করতে হবে বলে বিশ্বাস করে।

    ReplyDelete
  9. নবী সাঃ এর নামে চালিয়ে দেওয়া আরও কয়েকটি জাল ও ভিত্তিহীন হাদিস ঃ
    ১) আমি আরবি ভাষী, কোরআন আরবি ভাষায় এবং জান্নাতিদের ভাষা আরবি। এই তিনটি কারনে তোমরা আরবদের মোহাব্বাত করো।
    ২) যখন আরবদের পদষ্ফলন ঘটবে তখন ইসলামেরই পদষ্ফলন ঘটবে।
    ৩) যখন আদম ছিলেন না, মাটি ও পানি ছিল না, তখনও আমি নবী ছিলাম।
    ৪) দাউদ আঃ এর দৃষ্টিতে ত্রুটি ছিল।
    ৫) তোমরা আমার সত্ত্বা দ্বারা ওসিলা ধরো, কারণ আমার সত্ত্বা আল্লাহর কাছে মহান।
    ৬) যদি নারী জাতি না থাকতো তবে সত্যই সত্যি আল্লাহর ইবাদত করা হতো।
    ৭) আমার উম্মতের মতভেদ রহমত স্বরূপ।
    ৮) আমার সাথী গণ নক্ষত্র তুল্য। তোমরা তাদের যে কারো কথা গ্রহণ করলে সঠিক পথ প্রাপ্ত হবে।
    ৯) তোমরা বিবাহ করো কিন্তু তালাক দিওণা কারণ তালাকের জন্য আরশ কেঁপে উঠে।
    ১০) আমার উম্মতের আলেম গণ বনী ইসরাইলের নবী গণের মতো।
    ১১) যে লোক তার পিতা মাতার উভয়ের কবর অথবা যে কোণ একজনের কবর প্রত্যেক জুমার দিবসে জিয়ারত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে এবং তাকে সৎ কর্ম শীলদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
    ১২) আমি প্রত্যেক পরহেজগার লোকের দাদা।
    ১৩) নবী গণ কে তাদের কবরে প্রত্যেক চল্লিশ রজনীর পরে অবশিষ্ট রাখা হয় না। তবে তারা আল্লাহর সামনে শিঙ্গায় ফুঁক না দেওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করতে থাকেন।
    ১৪) প্রত্যেক নবী ই মৃত্যু বরন করেন। তারপর ৪০ দিন পর কবরে তাঁর নিকট তাঁর আত্মাকে ফিরিয়ে দেওয়া হলে তিনি দাড়িয়ে যান। আমি আমার মেরাজের রাতে মুসাকে অতিক্রম করছিলাম এমন অবস্থায় যে তিনি তাঁর কবরে পরিবার বর্গের ভেতর দাড়িয়ে ছিলেন।
    ১৫) ব্যাক্তির জ্ঞানের গভীরতা যাচাই করো তাঁর দাঁড়ির দীর্ঘায়ত্বর মাঝে।
    ১৬) তোমরা আকীক পাঁথরের আংটি ব্যাবহার করো কারণ সেটি দারিদ্রকে দূরীভূত করে।

    সূত্রঃ নাসির উদ্দিন আলবানীর জাল ও জইফ হাদিস সিরিজ ও উম্মতের মাঝে তাঁর কুপ্রভাব বই থেকে।

    ReplyDelete
  10. কিয়ামত হবেই হবে৷

    পৃথিবী থর থর করে কাপবে।
    ধুনিত তোলোর মতো পাহাড়গুলো উড়বে…
    খসে পড়বে তারকারাজি…
    সমুদ্র উত্তাল হবে…
    টকরো টকরো হবে আকাশ৷

    যেই দেশে রাসুলকে গালি দেয়া হয়, এস হে বৈশাখ বলে শিরক করা হয়, যেই দেশ নাস্তিক কুলাংগারদের আড্ডা খানা, প্রকাশ্যে জেনা হয়, খেলার জন্য ছালাত ছাড়ে, টাকার জন্য মানুষ মারে, নারী নেতা হয়, সেই দেশের কি হবে?

    আল্লাহ তুমি বাংলাদেশকে রক্ষা কর।

    ReplyDelete
  11. তাক্বী উছমানী বলেছেন, অবশ্যই ইমাম মালেক স্বীয় বিখ্যাত বর্ণনা দ্বারা নামাজে হাত ছেড়ে দেবার পক্ষে ছিলেন। তার আরেকটি মতামত বর্ণিত হয়েছে যে, ফরয নামাজে হাত ছেড়ে দেয়া সুন্নাত। আর নফল নামাজে হাত বাধতে হবে। { দরসে তিরমিযী, ২/ ১৯}

    মূলত ইমাম মালেকের নামে হাত ছেড়ে দেবার কথা মুদাওয়ানাতুল কুবরা গ্রন্থে বলা হয়েছে।{ ১/ ৭৬}

    মুদাওয়ানাতুল কুবরা-- একটি দলীলবিহীন অনির্ভোগ্য কিতাব।

    ইমাম মালেক স্বয়ং নামাজে হাত বাধার অনুচ্ছদে এনেছেন। {মুয়াত্তা, হা/ ৩৭৭}

    ইমাম মালেক নামাজের কোন পার্থক্য করেন নি। বরং সকল নামাজের কথাই সাধারণভাবে বলে দিয়েছেন।

    নিজ মাযহাবকে দামী বানানো এবং অন্যান্য মাযহাবের। ইমামদের পচানোর মত কাজ কারবার করা কি কোন ভদ্র মানুষের কাজ?

    ReplyDelete
  12. আমার সেই চোর, কাযযাব ভাই কেন কবরপুজারী?

    জবাবঃ কারণ তিনি কবরপুজীদেরকে হক মনে করেন। সুতরাং তার শুমার কবরপুজীদের। সাথেই হবে। যেমনঃ-

    ১. হাজী এমদাদুল্লাহ মাক্কী রাসুল (ছা.) মুশকিল আসানকারী হিসেবে আহ্বান করেছেন। { কুল্লিয়াতে ইমদাদিয়া,পৃঃ ৯১}

    ২. তিনি নৌকাকে কিনারায় ভিড়িয়ে দিতে রাসুল (ছা.)- কে ডেকেছেন। { ঐ,পৃঃ ২০৫}

    ৩. হাজী ইমদাদুল্লাহ স্বীয় পীর নুর মুহাম্মাদকে সম্বোধন করে বলেছেনঃ হে নুর মুহাম্মাদ! সময় হয়েছে সাহায্য করার। { শামায়েমে ইমদাদিয়া, পৃঃ ৮৩,৮৪}

    ৪. আলী ( রা.) মুশকিল আসানকারী।{ কুল্লিয়াতে এমদাদিয়া, পৃঃ ১০৩}

    আমার সেই কাযযাব ভাই হাজী এমদাদুল্লাহ- হক মনে করেন। তাই উনার সাথে তারও হাশর হবে। ইমাম আবু হানীফার নামে মায়াকান্না করে লাভ নেই। এ সব আকিদা তিনি লালন করতেন না।

    ReplyDelete
  13. “তোমরা নিজের প্রতি বদ দুআ কর না, নিজের সন্তানদেরও বদ দুআ দিও না এবং নিজের মাল-সম্পদের প্রতিও বদ দুআ কর না” [মুসলিম নং ৩০১৪]

    ReplyDelete
  14. আস সালামুয়ালাইকুম, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম আ'লা নাবিয়্যিনা মুহাম্মদ
    -
    কোন রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইসরা ও মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল?
    ------------------------------
    যে রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইসরা ও মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল সেটি নির্ধারণের ক্ষেত্রে পূর্ব যুগ থেকেই ওলামাগণের মাঝে মত পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন হাদীস না থাকায় আলেমগণ বিভিন্ন জন বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন।
    ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন: ------------------
    মিরাজের সময় নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ বলেছেন, নবুওয়তের আগে। কিন্তু এটা একটি অপ্রচলিত মত। তবে যদি উদ্দেশ্য হয়, যে সেটা স্বপ্ন মারফত হয়েছিল সেটা ভিন্ন কথা।
    অধিকাংশ আলেমগণের মত হল, তা হয়েছিল নবুওয়তের পরে। তবে নবুওয়তের পরে কখন সেটা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
    কেউ বলেছেন: হিজরতের এক বছর আগে। ইবনে সা’দ প্রমুখ এ মতের পক্ষে। ইমাম নওবী রহ. এই মতটির পক্ষে জোর দিয়ে বলেছেন। তবে ইবনে হাজাম এর পক্ষে আরও শক্ত অবস্থান নিয়ে বলেন: এটাই সর্ব সম্মত মত। এই মতের আলোকে বলতে হয় মেরাজ হয়েছিল রবিউল আওয়াল মাসে।
    কিন্তু তার কথা অগ্রহণ যোগ্য। কারণ, এটা সর্ব সম্মত মত নয়। বরং এক্ষেত্রে প্রচুর মতবিরোধ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশটির অধিক মত পাওয়া যায়।
    ইবনুল জাওযী বলেন,---------------
    হিজরতের আট মাস আগে মেরাজ হয়েছিল। এ মতানুসারে সেটা ছিল রজব মাসে।
    -কেউ বলেন: হিজরতের ছয় মাস আগে। এ মত অনুযায়ী সেটা ছিল রামাযানে। এ পক্ষে মত দেন আবুর রাবী বিন সালেম।
    -আরেকটি মত হল, হিজরতের এগার মাস আগে। এ পক্ষে দৃঢ়তার সাথে মত ব্যক্ত করেন, ইবরাহীম আল হারবী। তিনি বলেন: হিজরতের এক বছর আগে রবিউস সানীতে মিরাজ সংঘটিত হয়।
    -কারো মতে, হিজরতের এক বছর তিন মাস আগে। ইবনে ফারিস এ মত পোষণ করেন।
    এভাবে আরও অনেক মতামত পাওয়া যায়। কোন কোন মতে রবিউল আওয়াল মাসে, কোন মতে শাওয়াল মাসে, কোন মতে রামাযান মাসে, কোন মতে রজব মাসে।
    আর তাই শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন:--------
    ইবনে রজব বলেন: রজব মাসে বড় বড় ঘটনা ঘটেছে মর্মে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায় কিন্তু কোনটির পক্ষেই সহীহ দলীল নাই। বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজবের প্রথম রাতে ভূমিষ্ঠ হয়েছেন, সাতাইশ বা পঁচিশ তারিখে নবুওয়ত প্রাপ্ত হয়েছেন অথচ এ সব ব্যাপারে কোন সহীহ দলীল পাওয়া যায় না। (লাতাইফুল মায়ারেফ, ১৬৮ পৃষ্ঠা)
    আবু শামাহ বলেন: --------
    গল্পকারেরা বলে থাকে যে, ইসরা ও মিরাজের ঘটনা ঘটেছিল রজব মাসে। কিন্তু ইলমে জারহ ওয়াত তাদীল সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ আলেমগণের মতে এটা ডাহা মিথ্যা। (আল বায়িস: ১৭১)

    সালফে সালেহীনগণ এ মর্মে একমত যে, ইসলামী শরীয়তে অনুমোদিত দিন ছাড়া অন্য কোন দিবস উদযাপন করা বা আনন্দ-উৎসব পালন করা বিদআত।
    কারণ, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
    “যে ব্যক্তি দ্বীনের অর্ন্তভুক্ত নয় এমন নতুন জিনিষ চালু করল তা পরিত্যাজ্য। (বুখারী, অধ্যায়: সন্ধি-চুক্তি।)

    সুতরাং মিরাজ দিবস অথবা শবে মেরাজ পালন করা দ্বীনের মধ্যে সৃষ্ট বিদআতের অর্ন্তভূক্ত সাহাবীগণ, তাবেঈনগণ বা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণকারী সালফে সালেহীনগণ তা পালন করেন নি। অথচ সকল ভাল কাজে তারা ছিলেন আমাদের চেয়ে অনেক বেশি অগ্রগামী।

    ReplyDelete
  15. Abdullah Arif Lalbagh
    https://www.facebook.com/notes/354445764764993/

    ReplyDelete
  16. প্রশংসাকারীর মুখে মাটি ছুঁড়ে মারো
    ****************************************
    বিনয় ও নম্রতা আব্দুল্লাহ ইবন উমারের (রা) চরিত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল। নিজের প্রশংসা শুনতে তিনি ভীষণ অপছন্দ করতেন। এক ব্যক্তি তার প্রশংসা করছিল। তিনি তার মুখে মাটি ছুঁড়ে মারলেন। অতঃপর তাকে রাসূলুল্লাহর (সা) এ হাদীস — প্রশংসাকারীর মুখে মাটি ছুঁড়ে মারো — শুনিয়ে দিলেন। কোন বাছ-বিচার না করে ছোট বড় সকলকে সালাম করতেন। পথ চলতে কোন ব্যক্তিকে সালাম করতে ভুলে গেলে ফিরে এসে তাকে সালাম করে যেতেন। অত্যন্ত কটু কথা শুনেও হজম করে যেতেন, কোন জবাব দিতেন না। এক ব্যক্তি কটু ভাষায় তাকে গালি দিল। জবাবে তিনি শুধু বললেন, আমি ও আমার ভাই অত্যন্ত উঁচু বংশের। এতটুকু বলে চুপ থাকলেন।

    [আসহাবে রাসূলের জীবনকথা (২) – মুহাম্মদ আবদুল মাবুদ]

    ReplyDelete
  17. আতা বিন আবী রাবাহ (রহ.) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের পিছে ছালাত আদায় করেছি। তিনি ছালাত শুরু করার সময়, রুকু যাবার আগে এবং রুকু হতে উঠার পরে রফউল ইদায়েন করতেন। আতা বিন আবী রাবাহ বলেন, আমি তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। জবাবে তিনি (আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের) বলেছেন, আমি আবু বকর ছিদ্দীকের পিছে ছালাত আদায় করেছি। তিনি ছালাত শুরুর সময়, রুকুর আগে এবং রুকুর পরে রফউল ইদায়েন করতেন।
    এবং সাঈয়েদুনা আবু বকর (রা:) বলেছেন, আমি রাসুলে (ছা:)-এর পিছে ছালাত আদায় করেছি।তিনি ছালাত শুরু করার সময়. রুকুর আগে এবং রুকুর পরে রফউল ইদায়েন করতেন।
    ইমাম বায়হাক্বী, হাফেয যাহাবী বলেন, এই হাদীছের রাবী ছেক্বাহ।{আস-সুনানুল কুবরা,২/৭৩; আর তিনি বলেছেন, এই হাদীছের সনদে থাকা প্রতিটি রাবীই ছেক্বাহ; হাফেয যাহাবী ‍আল-মুহাযযাব ফী ইখতিছারিস সুনানুল কুবরা গ্রন্থে (হা/১৯৪৩;২/৪৯)বলেছেন, এর প্রতিটি রাবীই ছেক্বাহ। ইবনে হাজার আত-তালখীছুল হাবী গ্রন্থে (হা/৩২৮;১/২১৯) বলেছেন, এর রাবীসমূহ ছেক্বাহ}
    সনদের তাহক্বীক্ব:
    ক. আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আছ-ছাফফার আয-যাহেদ সম্পর্কে হাফেয যাহাবী বলেছেন, শায়খ, ইমাম,মুহাদ্দিছ, অনুসরণযোগ্য।{সিয়ারু আলামিন নুবালা,১৫/৪৩৭}
    তাকে ইমাম বায়হাকী এবং অন্যান্য ইমামগণ ছেক্বাহ বলেছেন। ‘তার বর্ণিত হাদীছ ছহীহায়নের শর্তে ছহীহ’- কথাটি বলার দ্বারা হাকিম এবং হাফেয যাহাবী তাকে ছেক্বাহ বলেন।{আল-মুসতাদরাক,হা/৮২;১/৩০}
    তার জীবনী নিচের গ্রন্থগুলিতে উল্লেখ করা হয়েছে: আখবারু আছবাহান (২/২৭১), আল-আনসাব(৩/৫৪৬),আল-মুনতাযাম(৬/৩৬৮), আল-ইবার (২/২৫০)।
    ইমাম আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন হাম্বল হতে তিনি ‘আল-মুসনাদুল কাবীর’-গ্রন্থটি শ্রবণ করেছেন।{সিয়ারু আলামিন নুবালা,১৫/৪৩৭}
    আবু ইসমাঈল আস-সুলামী হতে মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আছ-ছাফফার হাদীছ শ্রবণ করেছেন।{আল-মুসতাদরাক,হা/৪০৩;১/১১৭}

    তিনি মুদাল্লিস রাবী ছিলেন না।{হাশিয়া জালাউল আইনাঈন,পৃ:১৮; শায়খ ফায়যুর রহমান রচিত}
    সুতরাং তার আন আন শব্দে বর্ণিত হাদীছ মুত্তাছিল হিসেবে গণ্য করা হয়।
    মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল আবূ ইসমাঈল আস-সুলামী-একজন ছেক্বাহ রাবী ছিলেন।{সিয়ারু আলামিন নুবালা,১৩/২৪২}
    তাকে নাসাঈ, দারাকুতনী, হাকিম, আবু বকর, আল-খাল্লাল এবং ইবনে হিব্বান সহ অন্যান্যগণ তাকে ছেক্বাহ বলেছেন।{তাহযী্বুত তাহযীব,৯/৫৩,৫৪}
    ইবনে হাতিম বলেছেন, তার সম্পর্কে মুহাদ্দিছগণ বিরুপ মন্তব্য করেছেন- তার এই কথাটি কতিপয় কারণে বাতিল:
    ক. তার বক্তব্য অধিকাংশ মুহাদ্দিছগণের খেলাফ হয়েছে।
    খ. তিনি যে সমালোচনা করেছেন তার ব্যাখ্যা তথা কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
    গ. যারা তাকে সমালোচনা করেছেন তারা অজ্ঞাত রয়ে গেছেন।
    হাফেয আহমাদ ইবনে হাজার আসক্বালানী বলেছেন, তিনি একজন ছেক্বাহ-হাফেয ছিলেন। আর তার সম্পর্কে ইবনে আবী হাতিমের বিরূপ মন্তব্য পরিষ্কার করে উল্লেখ করা হয়নি।{আত-তাক্বরীব, রাবী নং-৫৭৩৮}
    আবু নুমান মুহামম্মাদ ইবনুল আবুল ফাযল আরিম কুতুবে সিত্তার প্রধান রাবী ছিলেন। আবু হাতীম সহ অন্যান্যগণ তাকে ছেক্বাহ বলেছেন। হাফেয যাহাবী বলেছেন, তিনি একজন হাদীছের হাফেয,আছ-ছাবত এবং একজন ইমাম ছিলেন।{সিয়ারু আলামিন নুবালা,১০/২৬৫}
    শেষ জীবনে তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে গিয়েছিলে।{তাক্বরীবুত তাহযীব,রাবী নং-৬২২৪; তিনি বলেছেন, ছিক্বাতুন ছাবতুন, শেষ জীবনে তার ব্রেন বিকৃত হয়ে গিয়েছিল}
    তিনি এখতেলাতে পতিত হয়েছিলেন।{হাদিউস সারী,পৃ:৪৪১}
    এমনকি তার আকল বিলুপ্ত প্রায় হয়ে গিয়েছিল।{আল-জারহু ওয়াত-তাদীল,৮/৫৯}
    হাফেয যাহাবী এই বলেই আলোচনার চূড়ান্ত ফায়ছালা প্রদান করেছেন যে, তার মৃত্যুর আগে আগে মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল।এবং সে সময় তিনি কোনই হাদীছ আর বর্ণনা করেন নি।{আল-কাশিফ,৩/৭৯; রাবী নং-১৫৯}
    দ্বিতীয়ত: তার পিছে এই হাদীছের অন্যতম রাবী আবু ইসমাঈল আস-সুলামী ছালাত আদায় করেছেন। যার আকল হ্রাস হয়ে গিয়েছিল। আর তার পিছে ঐ ব্যক্তিই ছালাত আদায় করতেন যার আকল হ্রাস পেয়ে গিয়েছিল!সুতরাং এই হাদীছটি তার এখতেলাতের পুর্বে করা হয়েছে। এবং হাদীছটি একেবারেই ছহীহ। আল্লাহই ভালো জানেন।
    (শায়খ যুবায়ের যাঈ রহ- রচিত নুরুল আইনাঈন হতে অনুদিত।এই বই পড়ে অসংখ্য মানুষ আহলে হাদীছ হয়ে গিয়েছেন এবং হতেই আছেন। বইটা সর্বমোট ৬০৫ পৃষ্ঠাব্যাপী)

    ReplyDelete
  18. রাসুল (সাঃ) যে ভাবে স্বালাত আদায় করেছেন সেই ভাবে স্বালাত আদায় করবেন? না কি বাপ দাদাকে যে ভাবে স্বালাত আদায় করতে দেখেছেন সেই ভাবে স্বালাত আদায় করবেন?
    https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=1464565643834059&id=100008419118477

    ReplyDelete
  19. কাবলাল জুমুআ বা জুমুআর আগে চার রাকাত ছালাত সুন্নাত পড়া

    ** জুমআর আগে চার রাকাত ( কাবলাল জুমুআ) পড়ার হাদীছগুলি ছহীহ সনদে বর্ণিত নয় । আর খতীবের খুতবা শুরু করার আগে ইচ্ছামত ২,৪,৬,৮ রাকাত নফল পড়া যেতে পারে । কাবলাল জুমুআ-এর দলীলগুলি সংক্ষিপ্ত আকারে পর্যালোচনা করা হলঃ
    ** ইবনে মাজাহ (হা/১১২৯), মু'জামুল কাবীর (হা/১২৬৭৪)- এর সনদের প্রায় সবগুলি রাবীই ক্রটিযুক্ত । তাদের মধ্য হতে অন্যতম রাবী হলেন মুবাশ্বির ইবনে উবাইদ । তার অবস্থান তুলে ধরা হলঃ
    ১. তিনি মুনকারুল হাদীছ ।{তারীখে কাবীর, ইমাম বুখারী,রাবী নং-১৯৬০}
    ২. তিনি খুবই দুর্বল ।{মুজামুছ ছহাবাহ,রাবী নং-১০৫৯}
    ৩. একই বর্ণনা তিনি একেক সময় একেক রকমভাবে পেশ করতেন । {আল-মাজরুহীন,ইবনে হিব্বান,রাবী নং-১০৭৫}
    ৪. তিনি হাদীছ জাল করতেন ।{আল-কামিল,রাবী নং-১৯০০}
    ৫. তিনি হাদীছ জালকারী ।{তারীখে আসমায়ে যুয়াফা ওয়াল কাযযাবীন,রাবী নং-৬৪৪}
    ৬. তিনি মিথ্যুক ।{আয-যুয়াফাউ ওয়াল মাতরুকীন, ইমাম দারাকুতনী, রাবী নং-৪৯৯}
    ৭. তিনি কাযযাব । {আয-যুয়াফাউ ওয়াল মাতরুকীন, ইবনুল জাওযী,রাবী নং-২৮৩৯}
    ৮. তিনি কিছুই নন । {তাহযীবুল কামাল,২৭/১৯৫}
    ৯. তিনি মুনকারুল হাদীছ বা অস্বীকৃত । {ঐ,২৭/১৯৬}
    ১০. ইমাম আহমাদ বলেছেনঃ সে হাদীছ করতো । {আল-মুগনী, রাবী নং-৫১৬৮}
    ১১. তার বর্ণিত হাদীছ সমুহ সাব্যস্ত নয় ।{আল-মুক্বতানা, রাবী নং-৬৪৭}
    ** মুজামুল আওসাত্ব (হা/৪১১৬),ইবনে আবী শাঈবাহ (হা/ ৫৩৬০) এবং মু'জামু ইবনে আরাবী (হা/৮৬৫৪)- গ্রন্থসমহেও চার রাকাত পড়ার কথা এসেছে । এ সকল হাদীছের সনদসমুহে আত্তাব ইবনে বাশীর এবং খুছাঈফ ইবনে আব্দুর রহমান - নামক রাবী আছেন । তাদের ব্যাপারে যা বলা হয়েছেঃ
    ১. আত্তাব ইবনে বাশীর তার শেষ জীবনে মুনকার বা বাতিল হাদীছসমুহ বর্ণনা করতেন । {আল-কামিল,৩/৫২৩}
    ২. আর খুছাইফ শক্তিশালী রাবী নন ।{আয-যুয়াফাউ ওয়াল মাতুরকীন ,ইমাম নাসাঈ, রাবী নং-১৭}
    ৩. ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন খুছাঈফকে যঈফ বলেছেন ।{আল-জারহু ওয়াত-তা'দীল, ইবনে আবী হাতিম, রাবী নং-১৮৪৮}
    ৪. ইমাম আহমাদ তাকে যঈফ বলেছেন ।{ঐ,রাবী নং-১৮৪৮,আল-মাওযুআত,ইবনুল জাওযী,রাবী নং-১১১০}
    ৫. তার হেফজ শক্তি বাজে ।{ঐ,রাবী নং-১৮৪৮}
    ৬. খুছাঈফ প্রচুর ভুল করতেন ।{আল-মাজরুহীন, ইবনে হিব্বান, রাবী নং-৩১৫}
    ৭. তিনি হাদীছ বর্ণনায় শক্তিশালী ছিলেন না । {আল-কামিল,রাবী নং-৬১৯}
    ৮. ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইমাম আলী ইবনুল মাদিনী । ইবনুল মাদিনীর উস্তাদ ইমাম ইয়াহইয়া আল-ক্বাত্বান বলেছেনঃ {আয-যুয়াফা ওয়াল মাতুরকীন,ইবনুল জাওযী, রাবী নং-১১১০}
    ৯. তিনি হাদীছ বর্ণনায় শক্তিশালী নন । {বুগইয়াতুত তালাব,৭/৩২৭১}
    ১০. ইমাম দারাকুত্বনী বলেনঃ তিনি ভ্রান্তিতে পতিত হতেন । {ঐ,৭/৪২৭৪}
    ১১. তার স্মৃতি এতই খারাপ যে অল্প বর্ণনায়ও ভুল বেশী হত । {আল-কাশিফ, রাবী নং-১৩৮৯}
    ১২. ইমাম আহমাদ সহ অন্যান্য মুহাদ্দীছগণ খুছাঈফকে যঈফ আখ্যায়িত করেছেন ।{আল-মুগনী ফিয যুয়াফা, রাবী নং-১৯১২}
    ** আব্দুর রাজজাক (হা/৫৫২৫), মু'জামুল কাবীর (হা/৯৫৫১)- এ যে সনদ সমুহ এসেছে সেগুলোতে রাবী আছ-ছাওরী রয়েছেন । আর তিনি মুদাল্লিস রাবী হিসেবে পরিচিত । এবং মুদাল্লিস রাবীর আন আন শব্দে বর্ণিত হাদীছ সর্বসম্মতিক্রতে যঈফ । আর এ সনদ দুটোতে আছ-ছাওরী আন আন শব্দে হাদীছ বর্ণনা করেছেন । তাই সনদ দুটি বর্জনযোগ্য ।
    ** মুজামুল আওসাত্ব (হা/১৬১৭)- এ হাদীছের সনদে ইবনে ইসহাক্ব নামক রাবী রয়েছেন । তার সুনাম থাকলেও তিনিও মুদাল্লিস রাবী হিসেবে বিখ্যাত । তিনিও এখানে আন আন শব্দে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন । তাই এ হাদীছও অগ্রহণযোগ্য ।
    ** আরো দু চারটা হাদীছ পাওয়া যায় তবে সেগুলোর অবস্থাও করুন । আর যদি তর্কের খাতিরে মানা হয় যে জুমুআর চার রাকাত পড়ার হাদীছগুলি ছহীহ বা হাসান ,তারপরও উক্ত হাদীছসমুহ দ্বারা এ কথা প্রমাণিত হয় না যে, প্রথমে বাংলায় বক্তৃতা দিতে হবে । তারপর নির্দিষ্ট সময়ে তথা আরবী খুতবার আগে আগে চার রাকাত পড়তে হবে । এক কথায়, দু খুতবার মাঝে নির্দিষ্ট করে চার রাকাত পড়ার কথা কোন জাল হাদীছেও বর্ণিত হয়নি ।
    ** বক্তৃতা আর খুতবা এক নয় ।{নুরুল ইসলাম ওলীপুরী,মাযহাব কি ও কেন ,পৃ :৪২}
    ভালো কথা । তাই বলে যে বক্তৃতা আর খুতবার মাঝের সময়ে খাছ করে চার রাকাত পড়তে হবে তার দলীল কোথায় ?
    ** খুতবা শুরুর আগ পর্যন্ত চার রাকাত কিংবা তারও অধিক ছলাত পড়তে পারবেন ।

    ReplyDelete
  20. #‎হাদীস‬ নং ১. ইমাম বায়হাকী বলেন, ইমাম আবু আব্দুল্লাহ আল হাকিম আমাকে হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি বললেন আমাকে আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন সাফার আজ জাহিদ তার কিতাব থেকে হাদীস শুনালেন যে, আবূ ইসমাঈল সূলুমী বলেন, আমি আবুন-নোমান মুহাম্মাদ বিন ফজল আমের এর পিছনে সালাত আদায় করি। তিনি সালাত শুরু করার সময় রুকূ করার সময় এবং রুকু থেকে উঠার সময় তার দু’টি হাত উপরে উঠাতেন। তখন এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন আমি হাম্মাদ বিন জায়েদ এর পিছনে সালাত পড়ি। তিনি সালাত শুরু করার সময়, রুকু করার সময় এবং রুকূ থেকে মাথা উঠানোর সময় তার দুটি হাত উপরে উঠালেন। আমি এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমি আইয়ুব সাখতিয়ানির পিছনে সালাত পড়ি। তিনি সালাত শুরু করার সময় রুকূ করার সময়, এবং রুকু থেকে উঠার সময় রফউল ইয়াদাইন করলেন। এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি আতা বিন আবি রিবাহ তাবেয়ীকে দেখেছি -তিনি সালাত শুরু করারার সময়, রুকু করার সময়, এবং রুকু থেকে মাথা উঠানোর সময় তার দু’টো হাত উপরে উঠালেন। তারপর আমি তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ বিন যুবায়েরের পিছনে সালাত পড়ি। তিনিও সালাত শুরুর করার সময়, রুকু করার সময় এবং কুকু থেকে মাথা উচু করার সময় তার দু’টি হাত উপরে উঠাতেন। আমি এ বিষযে তার নিকট জিজ্ঞাসা করি তিনি বলেন আমি আবূ বকর সিদ্দিকের (রা:) পিছনে সালাত পড়ি। তিনি সালাত শুরু করার সময়, রুকু করার সময় এবং রুকু থেকে মাথা উঠানোর সময় তিনি তার দু’টি হাত উপরে উঠাতেন এবং আবূ বকর সিদ্দিক (রা:) বলেন আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাহম) এর পিছনে সালাত পড়ি। তিনি (সা:) সালাত শুরু করার সময়, রুকু করার সময়, এবং রুকু থেকে মাথা উঁচু করার সময় দুটি হাত উপরে উঠাতেন।
    (সুনানে কুবরা, বায়হাকী, ২/৭৩)

    => ইমাম বায়হাকী বলেন এ হাদীসের সকল বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য। ইমাম যাহাবী আল মাযহার গ্রন্থের ২য় খ. ৪৯ পৃষ্ঠায় এ হাদীসের বর্ণনাকারীদেরকে বিশ্বস্ত বলেছেন।

    => এ হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, রাসূল (সা:), তারপর সাহাবায়ে কেরাম, তারপর তাবেয়ী, তারপর তাবে-তাবেয়ী এবং তাদের অনুসারীগণ ধারাবাহিক ভাবে সালাতে রফউল ইয়াদাইন করেছেন।

    #হাদীস নং ২: ইমাম বায়হাকী ইমাম আবদুর রাজ্জাকের মাধ্যমে বর্ণনা করেন। তাঁরা বর্ণনা করেছেন যে, মক্কাওয়ালারা রফউল ইয়াদাইনসহ সালাত ইবনে জুরায়েজ থেকে নিয়েছেন এবং ইবনে জুরায়েজ, আতা বিন অবীর রিবা থেকে নিয়েছেন। আতা, আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের থেকে নিয়েছেন এবং আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের, আবূ বকর সিদ্দিক (রা:) থেকে নিয়েছেন। আবূ বকর সিদ্দিক (রা:), রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাহম) থেকে নিয়েছেন, আর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাহম) জিবরাঈল (আ:) থেকে শিখেছেন। আর জিবরাঈল (আ:) এ হুকুম আল্লাহ তায়ালা থেকে নিয়েছেন।

    (বায়হাকী, ২/৭৩-৭৪; মুসনাদে আবি বাকার সিদ্দিক, ২০৪ পৃ; তাযকিরাতুল হুফফায ৩/১১২৩ পৃ:)
    => এ হাদীস থেকে প্রমাণ হয় যে, সালাতে রফউল ইয়াদাইন করা খোদ আল্লাহ তায়ালার হুকুম। সেকারনে মুসলিমদের এটা ছাড়া উচিত নয়।

    #হাদীস নং ৩: ইমাম আবূ নুয়ায়েম বলেন, আমাকে সুলায়মান বিন আহমাদ তাবারানী খবর দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার চাচা ইবরাহীম বিন মুহাম্মাদ হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি বলেন আমি ইমাম শাফেয়ী (রহ.) কে যেমন সুন্দর সালাত আদায় করতে দেখেছি এমন কাউকে দেখি নাই। তিনি সালাতের এ পদ্ধতি তার উস্তাদ মুসলিম বিন খালিদ আযযানজী থেকে শিখেছেন এবং তিনি শিখেছেন ইমাম ইবনে জুরায়েজের থেকে এবং তিনি শিখেছেন ইমাম আতা তাবেয়ী থেকে। আর তিনি শিখেছেন ইবনে যুবায়ের থেকে আর ইবনে যুবায়ের শিখেছেন আবূ বকর সিদ্দিক (রা:) থেকে, আবূ বকর সিদ্দিক (রা:) শিখেছেন নবী (সা:) থেকে, আর নবী (সা:) শিখেছেন জিবরাইল (আ:) থেকে।
    (ইবনে নুয়ায়েম, ৯/১৩৫)

    => ইমাম মাযনী থেকে বর্ণিত যে তিনি ইমাম শাফেয়ী রহ. থেকে শুনেছেন। তিনি বলতেন যে কোন মুসলিমের জন্য এটা বৈধ নয় যে, তিনি রাসূল (সা:) এর রফউল ইয়াদাইন করার হাদীস শুনবে কিন্তু তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করবে না। ইমাম সুবকী বলেন, একথা থেকে প্রকাশ্য প্রমাণ হয় যে ইমাম শাফেয়ী রফউল ইয়াদাইন কে জরুরী মনে করতেন।

    বি.দ্র: রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, “জানি না আর কতদিন তোমাদের মাঝে আমি বেঁচে থাকবো। তবে আমার পরে তোমরা আবূ বকর (রা:) ও ওমর (রা:) এ দু’জনের ইকতিদা করে যাবে।” রউফল ইয়াদাইন করার হাদীস এ উভয় সাহাবী থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত। সুতরাং রফউল ইয়াদাইন ছেড়ে দেয়া মুসলিমদের উচিত নয়।

    ReplyDelete
  21. সকাল-সন্ধ্যায় পঠিতব্য দো‘আ :

    بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ إِسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ-

    (ক) ‘বিস্মিল্লা-হিল্লাযী লা-ইয়াযুর্রু মা‘আ ইসমিহী শাইয়ুন ফিল্ আর্যি ওয়া লা ফিসসামা-ই ওয়া হুয়াস সামী‘উল ‘আলীম’ (আমি ঐ আল্লাহর নামে শুরু করছি, যাঁর নামে শুরু করলে আসমান ও যমীনের কোন বস্ত্তই কোনরূপ ক্ষতিসাধন করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ)।

    রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি উক্ত দো‘আ সকালে ও সন্ধ্যায় তিন বার করে পড়ে, কোন বালা-মুছীবত তাকে স্পর্শ করবে না’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘সন্ধ্যায় পড়লে সকাল পর্যন্ত এবং সকালে পড়লে সন্ধ্যা পর্যন্ত আকস্মিক কোন বিপদ তার উপরে আপতিত হবে না’।[148]

    (খ) اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্দুন্ইয়া ওয়াল আ-খিরাহ’ (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি)। আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সকালে ও সন্ধ্যায় এই দো‘আ পড়া ছাড়তেন না। [149]

    (গ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ফজরের ছালাতের পর বলতেন,

    اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَعَمَلاً مُّتَقَبَّلاً وَرِزْقًا طَيِّباً-

    আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস’আলুকা ‘ইলমান নাফে‘আন, ওয়া ‘আমালাম মুতাক্বাববালান, ওয়া রিঝক্বান ত্বাইয়েবান’ (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে উপকারী জ্ঞান, কবুলযোগ্য আমল ও পবিত্র রূযী প্রার্থনা করছি)।[150]
    [148] . তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৩৯১ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘সকাল-সন্ধ্যায় ও ঘুমানোর সময় যা পাঠ করতে হয়’ অনুচ্ছেদ-৬।

    [149] . ইবনু মাজাহ হা/৩৮৭১।

    [150] . আহমাদ, ইবনু মাজাহ, ত্বাবারাণী ছাগীর, মিশকাত হা/২৪৯৮, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘সারগর্ভ দো‘আ’ অনুচ্ছেদ-৯।

    ReplyDelete
  22. হাদীস জাল করার কারণ ও উদ্দেশ্যঃ-

    ১) মুনাফিকরা এবং কাফিররা মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য মুসলিম ছদ্মবেশে জাল হাদিস প্রচার করতো।

    ২) আলেমদের মধ্যে যারা নিজেরা যত বেশি হাদিস সংগ্রহ করেছে বলে দাবি করতে পারতো, সে তত বেশি সন্মান পেত। তাই সন্মানের লোভে অনেক আলেম, পীর, দরবেশ মিথ্যা হাদিস প্রচার করে গেছে।

    “এই হাদিসটির ইস্‌নাদ আমার কাছে একদম মুহাম্মাদ (ﷺ) থেকে এসে পৌঁছেছে”—এই ধরনের দাবি করতে পারাটা একটা বিরাট গৌরবের ব্যাপার ছিল, এখনও আছে।

    ৩) রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য আগেকার রাজা-বাদশা, শাসকরা আলেমদের ব্যবহার করে মিথ্যা হাদিস প্রচার করতো। জনতাকে কোন প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য হাদিসের চেয়ে মোক্ষম অস্ত্র আর কিছু ছিল না।

    ৪) ধর্মের প্রতি মানুষকে আরও অনুপ্রাণিত করার জন্য নানা চমকপ্রদ, অলৌকিক ঘটনায় ভরপুর জাল হাদিস প্রচার করা হত, যেগুলো শুনে সাধারণ মানুষ ভক্তিতে গদগদ হয়ে যেত।

    ৬) ধর্মীয় উপাসনালয় এবং বিশেষ স্থানগুলোতে মানুষের আনাগোনা বাড়ানো এবং তা থেকে ব্যবসায়িক লাভের জন্য জাল হাদিস ব্যবহার করে সেসব স্থানের অলৌকিকতা, বিশেষ ফজিলত প্রচার করা হত।

    সাধারণ মানুষ তখন ঝাঁকে ঝাঁকে সেই সব অলৌকিক, প্রসিদ্ধ স্থানে গিয়ে তাদের বিপুল পরিমাণের অর্থনৈতিক লাভ করে দিয়ে আসতো।

    ৭) জিন্দিকগণ পারসিক জিনদের ধর্মাবলম্বী একদল লোক বাহ্যত নিজেদেরকে মুসলমান বলে পরিচয় দিত, কিন্তু প্রচ্ছন্ন ভাবে ইসলামের ক্ষতি সাধনের চেষ্টায় থাকত। এ সমস্ত লোকেরা ইসলামের মূলনীতি ও বিশ্বাসের প্রতি মানুষকে শ্রদ্ধাহীন করার জন্য রাসুলের (সাঃ) নামে অযৌক্তিক হাজার হাজার হাদীস প্রচলন করে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের অনিষ্ট সাধন।

    ৮) অতি পরহেজগারগণ নিজেদেরকে সূফি প্রমানের লক্ষে জাল হাদীস তৈরি করত।

    ৯) সদুদ্দেশ্যে

    ১০) তর্কবিতর্কের ক্ষেত্রে রাসূল (সাঃ)- এর শ্রেষ্টত্ব প্রমানের জন্য মনগড়া হাদীস বর্ণনা করে।

    ১১) যুদ্ধে উত্তেজিত করার জন্য।

    ১২) মুকাল্লিদগণঃ ভিবিন্ন ইমামদের অনুসারীরা নিজেদের ইমামের শ্রেষ্টত্ব প্রমানের জন্য জাল হাদীস রচনা করে।

    ১৩) মুসাহেবগণঃ রাজা-বাদশা ও আমীর উমরাহদের মুসাহেবগণ নিজেদের প্রভুকে খুশি করার জন্য জাল হাদীস বর্ণনা করত।

    ১৪) বক্তাগণ।

    ১৫) অসতর্কতা ও অন্ধভক্তি।

    ১৬) সুফিগণ।

    ইতিহাসের কিছু বিখ্যাত হাদীস জালকারী—

    খলিফা মাহদি আব্বাসির শাসনামলে আব্দুল কারিম বিন আল আরযাকে যখন শাস্তি স্বরূপ হত্যা করার জন্য আনা হয় তখন সে প্রায় চার হাজার হাদিস জাল করার কথা স্বীকার করেছিল।

    আবু আসমা নুহ বিন আবি মারিয়াম কু’রআনের প্রতিটি সূরার নানা ধরণের ফজিলত নিয়ে শত শত জাল হাদিস প্রচার করেছে, যখন সে লক্ষ করেছিল মানুষ কু’রআনের প্রতি বেশি মনোযোগ দিচ্ছিল না। যেমন, সূরা ইয়াসিন কু’রআনের দশ ভাগের একভাগ, অমুক সূরা পড়লে কু’রআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায় ইত্যাদি। [কিতাব আল মাউজুয়াত – ইবন জাওযি, পৃষ্ঠা ১৪]

    ওয়াহাব বিন মুনাব্বিহ নানা ধরণের ভালো কাজের বিভিন্ন ধরণের ফজিলত নিয়ে অনেক হাদিস জাল করেছে। সে একজন ইহুদি ছিল মুসলমান হবার আগে। [আল মাউজুয়াত]

    আবু দাউদ নাখি একজন অত্যন্ত নিবাদিত প্রাণ ধার্মিক ছিলেন। তিনি রাতের বেশিরভাগ সময় নামায পরতেন এবং প্রায়ই দিনে রোজা রাখতেন। তিনিও নানা ধরণের বানানো হাদীস প্রচার করেছেন মানুষকে ধর্মীয় কাজে মাত্রাতিরিক্ত মগ্ন রাখার জন্য। [আল মাউজুয়াত-৪১]

    জাল হাদীসের লক্ষণঃ -


    http://www.waytojannah.com/joif-and-jal-hadeeth/

    ReplyDelete
  23. ১. স্বীকারোক্তি

    ২. যে সকল হাদীসের প্রত্যক্ষ শর্তের বিপরীত কোন কিছু বর্ণিত হয় তা জাল হাদীস। যেমন বেগুন সকল রোগের ঔষধ।

    ৩. জীবনে একবারও হাদীস জাল করেছে বা জেনে শুনে জাল হাদীস প্রচার করেছে এমন ব্যাক্তির বর্ণিত হাদীস।

    ৪. যে হাদীসের বর্ণনা মূলের বিপরীত। যেমন- সূর্য তাপে তক্ত জ্বলে, স্নান করলে কুষ্ঠ রোগ হয়।

    ৫. খাজা-খিজির সম্মন্ধে বর্ণিত সকল হাদীস।

    ৬. যে হাদীসে কোন জঘন্য ভাবের সমাবেশ আছে।

    ৭. যে হাদীসের ভাষা অশোভনীয়।

    ৮. যে হাদীসে এমন ঘটনা উল্লেখ আছে যে,তা ঘটে থাকলে বহুলোক জানার কথা ছিল,অথচ মাত্র একজন রাবী তা বর্ণনা করেছে।

    ৯. যে হাদীসে অনর্থক মুল্যহীন কথা আছে।

    ১০. যা কুরআন,সহীহ হাদীস ও কাতয়ী ইজমার বিপরীত।

    ১১. যে সকল হাদীসে সামান্য কাজের জন্য বড় বড় সওয়াব এবং সামান্য অপরাধের জন্য কঠোর দন্ডের ওয়াদা করা হয়েছে।

    যাদের হাদীস গ্রহণ করা যাবে নাঃ-

    ১. রাসূল (সাঃ)-এর প্রতি মিথ্যা আরোপকারী।

    ২. সাধারণ কথা বার্তায় যারা মিথ্যা কথা বলে।

    ৩. বিদয়াতী প্রবৃত্তির অনুসারী।

    ৪. জিন্দিক, পারসিক, অমনোযোগী ও অসতর্ক ব্যাক্তিবর্গ এবং যাদের মধ্যে আদালত, যাত ও ফাহাম (ন্যায় পরায়ণতা, বুদ্ধিমত্তা) ইত্যাদি গুণাবলীর অনুপস্থিতি থাকবে।

    হাদীস জালকারীদের কয়েকজন/মুহাদ্দিসগনের নিকট মিথ্যাবাদী হিসেবে আধিক পরিচিত যারাঃ

    ১. আবান্ যাফার আন-নুমাইরীঃ এই ব্যক্তি ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) – এর নামে তিন শতাধিক হাদীস ছড়িয়েছেন।

    ২. ইবরাহীম ইবনে যায়িদ আল-আসলামীঃ এ ব্যক্তি ইমাম মালিক (রহঃ) – এর নামে বহু হাদীস ছড়িয়েছেন।

    ৩. আহমদ ইবনে আবদিল্লাহ আ-জুওয়ায়বারীঃ সে সিয়াদের কাররামিয়া সম্প্রদায়ের নামে হজার হাজার হাদীস বর্ণনা করে।

    ৪. জাবির ইবনে ইয়াজিদ আল-যুফিঃ তার সম্পর্কে সুফিয়ান বলেন,আমি জাবিরকে বলতে শুনেছি সে প্রায় ত্রিশ হাজার জাল হাদীস বর্ণনা করেছে।

    ৫. মহাম্মদ ইবনে সুজা আছ-ছালজীঃ সে সৃষ্ট বস্তুর সাথে আল্লাহর সম্পর্ক সাদৃশ্যমূলক বিষয়ে বহু হাদীস তৈরী করে মহাদ্দীসদের নামে ছড়িয়েছে।

    ৬. নুহ ইবনে আবি মারিয়ামঃ সে কুরআনের নানাবিধ ফজীলত ও বিভিন্ন সূরার সাহাত্ম্য ও মর্যাদা বিষয়ক বহু হাদীস তৈরী করে ছড়িয়েছে।

    * ইমাম আন-নাসাঈ (রহঃ) বলেন- জাল হাদীস রচনার সাথে জড়িত মিথ্যাবাদী হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভকারী ব্যক্তি চারজনঃ

    ১. মদীনায় ইবনে আবি ইয়াহইয়া

    ২. বাগদাদে আল-ওয়াকিদী

    ৩. খুরাসানে মুকাতিল

    ৪. শামে মুহাম্মদ ইবনে সাইদ আল-মাসলুব।

    ReplyDelete
  24. মাতৃভাষায় খুৎবা চালু করতে হবেঃ
    ====================
    আমরা গতানুগতিক কেতাব পড়ার খুৎবা দেই না। জনগণ ঘুম পাড়ে আর খতিব সাহেব কেতাব শোনায় ঐ খুৎবা আমরা দেই না। মাতৃভাষায় ইসলাম চর্চা হবে।

    মাতৃভাষায় ইসলাম চর্চা যদি না নয়, তামাম বাংলার মাটিতে মাতৃভাষায় যদি খুৎবা চালু না হয়, তাহলে ভাষা আন্দোলন সফল হয় নাই!

    মসজিদের ঈমাম সাহেব “খাকান ইবনে খাকান” পড়বেন আর মোক্তাদি ঘুম পাড়বেন এই খুৎবা আল্লাহর নবী ﷺ দেন নাই।

    কোন আলেম সাহেব বলতে পারেন আল্লাহর নবী ﷺ তো আরবীতে খুৎবা দিয়েছেন, এটা ১০০% ভুল, আল্লাহর নবী ﷺ আরবীতে খুৎবা দেন নাই।

    আরবী ভাষার পক্ষে নবী ﷺ দুনিয়াতে আসেন নাই, আরবী ভুখন্ডের পক্ষে নবী ﷺ দুনিয়াতে আসেন নাই। কোন ভাষা, বর্ণ, কোন আঞ্চলিকতাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য নবী ﷺ দুনিয়াতে আসেন নাই। নবী ﷺ এসেছিলেন তামাম বিশ্বের সকল ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে।

    আল্লাহ বলেন,
    الرَّحْمَٰنُ ۞ عَلَّمَ الْقُرْآنَ ۞ خَلَقَ الْإِنسَانَ ۞ عَلَّمَهُ الْبَيَانَ
    -রহমান কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন, রহমান মানুষ সৃষ্টি করেছেন, মানুষকে কথা বলার ক্ষমতা দিয়েছেন। [সূরা আর রহমান ১-৪ ]
    আল্লাহ আরও বলেন,
    وَمِنْ آيَاتِهِ خَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافُ أَلْسِنَتِكُمْ وَأَلْوَانِكُمْ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّلْعَالِمِينَ
    -আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে হচ্ছে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি, আর তোমাদের ভাষা ও তোমাদের বর্ণের বৈচিত্র। নিঃসন্দেহ এতে তো নিদর্শনাবলী রয়েছে জ্ঞানী লোকদের জন্য। [সূরা রুম ২২]
    আল্লাহর নবী ﷺ মাতৃভাষায় খুৎবা দিয়েছিলেন, আরবী ভাষায় নয়!
    আল্লাহর নবী ﷺ মাতৃভাষায় খুৎবা দিয়েছিলেন, আরবী ভাষায় নয়।

    আল্লাহ বলছেন,
    وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ ۖ فَيُضِلُّ اللَّهُ مَن يَشَاءُ وَيَهْدِي مَن يَشَاءُ ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
    -আর আমরা এমন কোনো রসূলকে পাঠাইনি তাঁর স্বজাতির ভাষা ব্যতীত, যেন তাদের জন্য তিনি সুস্পষ্ট করতে পারেন। তারপর আল্লাহ্ পথভ্রষ্ট হতে দেন যাকে তিনি ইচ্ছে করেন, আর যাকে ইচ্ছে করেন সৎপথে চালান। আর তিনিই তো মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।
    [সূরা ইব্রাহীম ৪ ]

    দুনিয়াতে যত নবী, রাসুল এসেছেন তাদেরকে মাতৃভাষা দিয়ে পাঠানো হয়েছে। নবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মাতৃভাষা ছিলো আরবী। তাই তিনি আরবীতে খুৎবা দিয়েছিলেন।
    !
    আল্লাহর নবী ﷺ কোন দিন ওয়াজও তো আরবী ছাড়া করেন নি, তো আপনি করেন কেন? ওয়াজ করা বৈধ আরবী ছাড়া বাংলায়, কিন্তু খুৎবা অবৈধ! গোস্ত হারাম হলেও ঝোলটা হালাল। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন!

    শুনুন!
    যদি বলি আল্লাহর নবী ﷺ মাতৃভাষায় খুৎবা দিয়েছেন, তামাম পৃথিবীর মাতৃভাষাকে স্বীকৃত দেওয়া হবে এবং বছরে ৫২টি খুৎবার মাধ্যমে জাতি সচেতন হতে পারবেন। আজকে আমাদের বিদ্যার বড়ই অভাব। বিদ্যা আমরা জানি না।

    --শায়েখ আমান উল্লাহ মাদানী!

    ReplyDelete
  25. আপনি যখন বলেন যে যঈফ ও জাল হাদীস মানা যাবে না শুধু সহীহ হাদীস মানতে হবে। তখন অনেকে বলেন যে: বলেনতো সহীহ হাদীস কাকে বলে?

    এটা যদি কোন মজলিসে কেউ জিজ্ঞাসা করে আর আপানি না বলতে পারেন, তাহলে তো আপনার দাওয়াত দেবার কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে। কেননা এই মুহুর্তে তাদের দলিল না থাকলেও আপনাকে জোর করে চেপে ধরে বলবে
    ”সহীহ হাদীষ কাকে বলে তাই জনো না আর আসছো সহীহ হাদীস প্রচার করতে?””

    তাই জেনে নিন সহীহ হাদীস কাকে বলে:
    --------------------------------------

    সহীহ বা বিশুদ্ধ হাদীসের সংজ্ঞা হলো :

    মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় যে হাদীসের মধ্যে ৫টি শর্ত পূরণ হয়েছে তাকে সহীহ হাদীস বলা হয় –

    ‪#‎আদালত‬ : হাদীসের সকল রাবী পরিপূর্ণ সত ও বিশ্বস্ত বলে প্রমাণিত ।
    ‪#‎যাবত‬ : সকল রাবীর “নির্ভুল বর্ণনার ক্ষমতা’ পূর্ণরুপে বিদ্যমান বলে প্রমাণিত
    ‪#‎ইত্তিসাল‬ : সনদের প্রত্যেক রাবী তাঁর উর্দ্ধতন রাবী থেকে স্বকর্ণে শুনেছেন বলে প্রমাণিত ।
    ‪#‎শুযুয‬ মুক্তি বা শায না হওয়া : হাদীসটি অন্যান্য প্রামাণ্য বর্ণনার বিপরীত নয় বলে প্রমাণিত ।
    ‪#‎ইল্লাত‬ মুক্তি : হাদীসটির মধ্যে সূক্ষ্ণ কোন সনদগত বা অর্থগত ত্রুটি নেই বলে প্রমাণিত।

    প্রথম তিনটি শর্ত সনদ কেন্দ্রিক ও শেষের দুইটি শর্ত মূলত অর্থ কেন্দ্রিক।

    ReplyDelete
  26. **শায়খুল ইসলাম তাক্বী উছমানী বলেন, মুআম্মাল বিন ইসমাঈল একজন যঈফ রাবী।{দরসে তিরমিযী,২/২২}
    মুআম্মালের উপরে এই সমালোচনা করার কারণ হল তিনি বুকে হাত বাধার হাদীছ বর্ণনা করেছেন।এই হাদীছটি যঈফ কারণ এতে সুফিয়ান ছাওরী নামক মুদাল্লিস রাবী রয়েছেন। কিন্তু তারা সুফিয়ানের দোষ ধরেন না। কারণ রফউল ইদায়েন না করার একটি হাদীছ এই সুফিয়ানের কারণেই যঈফ হয়েছে।বিষয়টা তারা গোপন রাখতে চান আরকি। শাক দিয়ে হাতী ঢাকার চমতকার কায়দা-কৌশল।
    **যে সকল ইমাম মুআম্মালের প্রশংসা করেছেন:
    ১. ইবনে মাঈন তাকে ছেক্বাহ বলেছেন।{তারীখে ইবনে মাঈন,রাবী নং-২৩৫}
    ২.যিয়াউল মাকদেসী তার হাদীছকে বর্ণনা করেছেন।{আল-মুখতারাহ,হা/২৩৭}
    ৩.ইবনে হিব্বান তাকে আছ-ছিকাত গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, মুআম্মাল কদাচিত ভুল করতেন।{কিতাবুছ ছিকাত,৯/১৮৭}
    ৪. আহমাদ বিন হাম্বল তার হতে হাদীছ বর্ণনা করতেন।{মাজমা,১/৮০}
    ৫.ইবনে শাহীন তাকে ছেকাহ রাবীদের মধ্যে শামিল করেছেন।{কিতাবুছ ছিকাত,রাবী নং-১৪১৬}
    ৬. দারাকুতনী তার হাদীছকে ছহীহ বলেছেন।{সুনানে দারাকুতনী,হা/২২৬১}
    ৭.সুলায়মান বিন হারব তার প্রশংসা করেছেন।{কিতাবুল মারিফাতি ওয়াত-তারীখ,৩/৫২}
    ৮.হাকিম তার হাদীছকে ছহীহ বলেছেন।{আল-মুসতাদরাক,১/৩৮৪}
    ৯.যাহাবী তাকে বছরীদের মাঝে থাকা ছেক্বাহ রাবীদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।{আল-ইবার,১/৩৫০}
    ১০. তিরমিযী তার হাদীছকে ছহীহ বলেছেন।{হা/৬৭২}
    ১১.ইবনে কাছীর তাকে শক্তিশালী বলেছেন।{তাফসীর ইবনে কাছীর,৪/৪২৩}
    ১২.হায়ছামী বলেছেন, তিনি ছেক্বাহ রাবী। তার মাঝে দুর্বলতা আছে।{মাজমা,৮/১৮৩}
    ১৩.ইবনে খুযায়মাহ তার হতে হাদীছ বর্ণনা করেছেন।{ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ,হা/৪৭৯}
    ১৪. বুখারী তার হাদীছকে তালীকরূপে বর্ণনা করেছেন।{ বুখারী,হা/২৭০০}
    ১৫.ইসমাঈলী তার হাদীছ বর্ণনা করেছেন।{আল-মুসতাদরাক,ফাতহুল বারী,১৩/৩৩}
    ১৬.নাসাঈ তার হাদীছ বর্ণনা করেছেন।{হা/৪০৯৭,৪৫৮৯}
    ১৭. আলী ইবনুল মাদীনী তার হাদীছ বর্ণনা করেছেন।{তাহযীবুল কামাল,১৮/৫২৬}
    ** যারা তার সমালোচনা করেছেন:
    ১.আবু হাতিম রাযী বলেছেন, তিনি একজন ছদুক। সুন্নাত পালনে কঠোর। অত্যধিক ভুল করতেন।তার হাদীছ লেখা যাবে।{কিতাবুল জারহি ওয়াত-তাদীল,৮/৩৭৪}
    ২.সাজী বলেছেন,তিনি একজন ছদুক। বেশী বেশী ভুল করতেন।তার বেশকিছু ভুল বর্ণনা আছে।{তাহযীবুত তাহযীব,ইবনে হাজার,১০/৩৮১}
    ইবনে হাজার সাজী হতে সনদ ছাড়াই এ কথাটি বর্ণনা করেছেন।তাই এ কথা মানা যাবে না।
    ৩. মুহাম্মাদ বিন নাছর মারওয়াযী বলেছেন,তিনি বাজে হেফয শক্তির অধিকারী।{তাহযীবুত তাহযীব,১০/৩৮১}
    এ কথাটিও সনদবিহীন এবং জমহুরদের বিপরীত হওয়ায় বাতিল।
    ৪.ইয়াকুব বিন সুফিয়ান তার সমালোচনা করেছেন।{কিতাবুল মারিফাতি ওয়াত তারীখ,৩/৫২}
    এই সমালোচনাও জমহুরদের বিপরীত হবার কারণে বাতিল হয়েছে।
    ৫. আবু যুরআহ বলেছেন,তার বর্ণিত হাদীছে প্রচুর ভুল আছে।{মীযানুল ইতিদাল,রাবী নং-৮৯৪৯}
    এই কথা সনদবিহীন তাই বাতিল।
    ৬. বুখারী তাকে মুনকারুল হাদীছ বলেছেন।
    ইমাম বুখারী মারা গেছেন ২৫৬ হিজরীতে । আর হাফেয মিযযী (৭৪৩ হি:), যাহাবী(৭৪৭ হি:), ইবনে হাজার আসকালানী(৮৫২ হি:)-তারা সবাই ৭০০ হিজরীর পরের ইমাম। তারা সনদবিহীন ভাবে ইমাম বুখারীর নামে এ কথা বলেছেন তাই তা বাতিল হয়েছে।বুখারী কোথাও তাকে মুনকারুল হাদীছ বলেননি।
    সুতরাং মুআম্মাল বিন ইসমাঈল যঈফ রাবী নন।আরো দু চারজন তার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলেছেন যা গ্রহণযোগ্য নয়।
    ** যাফর আহমাদ বলেছেন.......তার আগে যাফর আহমাদ থানভী সম্পর্কে বলে নিই।
    আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ তার প্রশংসা করেছেন: আল্লামাহ, হুজ্জাতুল জালীল,বাহ্হাছাতুল কুদওয়াতুন নাবীল,ছাবতুল মুতকিন, মুহাক্কি আল-কাবীর,ফকীহ,মুহাদ্দিছ,নাকিদুল বাছীর,বাহ্হাছাতুল মুদাক্কিক,ছাবতুল হুজ্জাহ,মুফাসসির,উছুলী, বারিউল আরীব,মুআররিখ,আদীব, ওরা’, যাহিদ,ছুফী আল-বাছীর..........(টাইটেলটাকে আরো বড় করা হয়েছে কি না কে জানে)
    যাই হোক,যাফর আহমাদ থানভী কত বড় লোক ছিলেন তা বুঝতেই পারছেন। তিনি এলাউস সুনান গ্রন্থের লেখক।
    তিনি কিছু উসুল বলেছেন।যেমন:
    ক. যখন কোন রাবীকে নিয়ে বিতর্ক হবে যে তিনি ছহীহ নাকি যঈফ; তখন তাকে হাসান গণ্য করতে হবে।{কওয়ায়েদ ফি উলুমিল হাদীছ,পৃ:৭৭}
    তার মানে মুআম্মাল হাসান রাবী।কারণ কেউ তাকে যঈফ বলেছেন। আবার কেউ তাকে ছেক্বাহ কিংবা ছহীহুল হাদীছ বলেছেন।
    খ.ইমাম আহমাদের সকল উস্তদাই ছেকাহ।{কওয়ায়েদ,পৃ:১৩৩}
    আর মুআম্মাল ইমাম আহমাদের উস্তাদ ছিলেন।
    গ.নাসাঈ শুধু ছেক্বাহ রাবী হতেই হাদীছ বর্ননা করেছন।{কওয়ায়েদ,পৃ:২২২}
    তার মানে মুআম্মাল একজন ছেকাহ রাবী। কারণ নাসাঈ তার হাদীছকে বর্ণনা করেছেন।যদি জারহ না করেন আরকি।
    ঘ.থানভী বলেছেন, ইবনে হাজার যার হাদীছকে তার ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল বারীতে বর্ননা করেছেন তার হাদীছ তার নিকটে ছহীহ।{কওয়ায়েদ,পৃ:৮৯}
    ইবনে হাজার তার হাদীছকে ফাতহুল বারীতে বর্ণনা করেছেন এবং তার কোন সমালোচনা করেননি।{২/২২৪}

    ReplyDelete
  27. এখন বলুন! কাকে মানবেন? থানভী সাহেবকে নাকি তাকী উছমানী সাহেবকে?
    বি:দ্র: হাফেয যুবায়ের যাই রহ- এর গ্রন্থ ছালাতে হাত বাধার হুকুম ও স্থান নামক বই হতে তথ্যগুলি চেকপূর্বক গ্রহণ করা হয়েছে। বইটির অনুদিত ২য় সংস্করণ আমরা অতি শীঘ্রই নিবরাস প্রকাশনী হতে বের করার চেষ্টা করবো ।ইনশা আল্লাহ।
    [যুবায়ের যাই-এর কথার জবাব দেবার ক্ষমতা না তাকী উছমানীর আছে আর না অন্য কোন হানাফী আলেমের আছে।]

    ReplyDelete
  28. এক ল্যাংড়াকে হাটানোর জন্য আরেক ল্যাংড়ার সাহায্য গ্রহণ করা:
    শায়খুল ইসলাম হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাক্বী উছমানী বলেছেন, আলী (রা) বর্ণিত হাদীছে আব্দুর রহমান বিন ইসহাক্ব নামক যঈফ রাবী রয়েছেন। যেহেতু এর পক্ষ্যে ছাহাবা (রা) এবং তাবেঈ (রহ)-দের আছার রয়েছে তাই এর দ্বারা দলীল গ্রহণ করা ছহীহ এবং দুরস্ত। যেমন: আবু মিজলায (রা), আনাস (রা), আবু হুরায়রা (রা) এবং অন্যান্যদের হতে যে সকল আছার আল-জাওহারুন নাকী এবং মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ সহ অন্যান্য গ্রন্থে রয়েছে সেগুলি লক্ষ্য করা যেতে পারে। এ সকল আছার হানাফীদেরকে দলীলকে শক্তিশালী করেছে।{দরসে তিরমিযী,২/২৪}(মাফহুম অনুদিত)
    এত বড় শায়খগণ যখন এভাবে কথা বলেন তখন সত্যই মায়া লাগে। হায়রে মাযহাব!
    আসুন! হাদীছটির তাহক্বীক্ব- এর প্রতি লক্ষ্য করা যাক:
    আলী রা.- কর্তৃক বর্ণিত যে, নাভীর নীচে হাত বাধা সুন্নাত । {আবু দাউদ, হা/৭৫৬}
    শাইখ ইলিয়াস ফয়সাল রচিত " নবীজির নামাজ" বইয়ের ১৫০ পৃষ্ঠায় হাদীছটি লেখা হয়েছে । হাদীছটির সনদের অন্যতম রাবী হলেন আব্দুর রহমান বিন ইসহাক্ব আল কুফী । তার সম্পর্কে মুহাদ্দীছ ইমামগণের বক্তব্য তুলে দিলামঃ
    ১.তিনি যঈফুল হাদীছ । {আত-তাবাক্বাতুল কুবরা, রাবী নং-২৬০৩}
    ২. তিনি কিছুই নন । {তারীখে ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন, রাবী নং-৩০৭০}
    ৩. তিনি মুনকারুল হাদীছ । { আত -তারীখুল আওসাত্ব , রাবী নং-১৭২৫ এবং কাবীর, রাবী নং-৮৩৫}
    ৪. তার হাদীছ প্রতিষ্ঠিত নয় । {আয যুআফাউছ ছগীর, রাবী নং- ৭৮}
    ৫. তিনি দুর্বল । {আছ ছিক্বাত,ইমাম ইজলী, রাবী নং-৯৩০}
    ৬.তিনি যঈফ রাবী ।{আয যুআফাউ ওয়াল মাতরুকীন, ইমাম নাসাঈ, রাবী নং-৩৫৮}
    ৭. তাকে চেনা যায় না । {আল জারহু ওয়াত তাদীল, ইবনে আবী হাতিম, রাবী নং-১৫৫৭}
    ৮.তিনি হাদীছ বর্ণনায় কিছুই নন এবং মুনকারুল হাদীছ । {আল-জারহু ওয়াত- তা'দীল, রাবী নং-১০০১}
    ৯.তিনি কিছুই নন । আর তিনি মুনকারুল হাদীছ । {আল- কামিল, রাবী নং-১১২৯}
    ১০. সে পরিত্যাক্ত রাবী । { আল মারেফাহ, ইমাম বাঈহাক্বী, ১/৪৯৯}
    ১১. তিনি শক্তিশালী নন । {আল- জারহু ওয়াত-তা'দীল, ৫/২১৩}
    ১২. তিনি যঈফুল হাদীছ । {কিতাবুত তাওহীদ, ইমাম ইবনে খুযাইমাহ, পৃ : ২৩০}
    ১৩.ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল তাকে মুনকারুল হাদীছ বলেছেন ।{কিতাবুয যুআফাহ, ইমাম বুখারী,রাবী নং-২০৩}
    ১৪. ইমাম বুখারী তাকে যইফুল হাদীছ আখ্যা দান করেছেন । {আল-ইলাল, ইমাম তিরমিযী,১/২২৭}
    ১৫. তিনি এককভাবে মাশহুর ব্যক্তিদের হতে মুনকার হাদীছ সমুহ বর্ণনা করতেন । তার হাদীছ দ্বারা দলীল নেয়া হালাল নয় । {আল-মাজরুহীন, রাবী নং-৫৯২}

    ReplyDelete
  29. ১৬. ইমাম দারাকুতনী তাকে দুর্বল বলেছেন । {দারেমী,হা/ ১৯৮২}
    ১৭. ইবনে হাজার তাকে যঈফ বলেছেন । {তাক্বরীবুত তাহযীব, রাবী নং-৩৭৯৯}
    ১৮. তিনি সবার ঐক্যমতে দুর্বল । {শরহে মুসলিম, ইমাম নববী,৪/১১৫ }
    ১৯. মুহাদ্দীছগণ তাকে যঈফ বলেছেন ।{আল-কাশিফ,২/২৬৫}
    ২০. তিনি মিথ্যার দোষে দুষ্ট । {আল-মাওযুআত,৩/২৫৭}
    তার সম্পর্কে আরো বহু ইমামের নেতিবাচক বক্তব্য পাওয়া যায় । ইমাম আবু দাউদ স্বয়ং হাদীছটা বর্ণনা করার পরে ইমাম আহমাদের বক্তব্য দ্বারা তাকে দুর্বল বলেছেন ।
    আর অন্যান্য আছারগুলি যেন কারো পক্ষ্য হতে পেশ করা হয় তার জন্য অনুরোধ করা হল। যে কেই পেশ করতে পারেন।
    সকল দেওবন্দী হানাফীদেরকে আহ্বান জানাই , আপনারা আলবানীর যঈফা কিংবা ছহীহার মত একটি গ্রন্থ রচনা করে দেখান। শুধু একটি গ্রন্থ............
    {বি:দ্র: এমন আরো অনেক বর্জনযোগ্য হাদীছ " নবীজির নামাজ" নামক বইতে সংকলিত হয়েছে }

    ReplyDelete
  30. যঈফ হাদীসের ভাগ:
    ============
    মুনকাতে্: হাদীসের সানাদে যে কোন স্থানে রাবী বাদ পড়লে তাকে ®মুনকাতে বলা হয়।বা ইনকিতাহ বা বিচ্ছিন্নতা।

    এই মুনকাতেহ এর সানাদে পরপর বা লাগাতার দুই জন রাবী হাইড বা না থাকলে সেই হাদীসকে ®মুউদাল হাদীস বলা হয়।

    মুনকাতেহ এর ইনকিতা বা বিচ্ছিন্নতা জদি তাবেঈর উপর হয় তবে সেই হাদীসকে ®মুরসাল হাদীষ বলা হয়।

    মুনকাতেহ এর ইনকিতাহ যদি মুহাদ্দীসের উপরে রাবি তে হয় তবে তাকে ®মুআল্লাক হাদীস বলা হয়।

    উপরেরর সকল হাদীসের ভাগগুলো যঈফ হাদীসের অংশ। পুরোটাই মুনকাতেহ গ্রুপের তবে ক্ষেত্র বিশেষে নাম আলাদা।

    -রাব্বি জিদনী ই’লমা।

    ReplyDelete
  31. ইমামুল জারহি ওয়াত তাদীল, হযরত ইয়াহইয়া বিন সাইদ আল- ক্বাত্বান বলেন, আল্লাকর কসম! আবু হানীফা আল্লাহ এবং রাসুল (ছঃ)- এর পক্ষ হ'তে যা কিছু এসেছে সেগুলির ব্যাপারে সবচাইতে বড় আলেম ছিলেন। { হাদীছ আওর আহলে হাদীছ,পৃঃ ৩১}

    জবাবঃ মাসউদ বিন শায়বাহ এ বর্ণনাটি কোন গুহায় আবিষ্কার করেছেন তা জানা যায় না। তার বরাতে উপরোক্ত কথাটি বলা হয়। মাসউদ বিন আবু শায়বাহ স্বয় মাজহুল বা অজ্ঞাত।
    সুতরাং, এ কথা মানা ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলিদের জন্য হারাম যতক্ষণ না এর ছহীহ সনদ পেশ করা না হয়।

    ফরিদাবাদ মাদরাসার সেই কাপুরুষ এবং কাযযাবকে অনুরোধ জানাই এর ছহীহ সনদ পেশ করতে। না পারলে বুঝবো যে, তুমি একটা পায়জামা মার্কা হানাফী।

    ReplyDelete
  32. আল্লাহ সবখানে বিরাজমান-- এটা জাহমীয়াদের আকীদা। জাহম বিন ছফওয়ান বলতেন, আল্লাহ সবখানেই আছেন। { সিয়ার, ৬/ ২৬}

    যারা আল্লাহকে সর্বত্র বিরাজমান দাবী করেন তারা জেনে শুনে এমন বললে জাহমিয়াদের। সাথেই তাদের হাশর হবে। ইনশা আল্লাহ। জাহমিয়া সম্পর্কে ইমামদের মতামতঃ

    ১. সালাম বিন মুতী' বলেন, জাহমিয়ারা কাফের তাদের পিছে ছালাত হবে না।{ মাসায়েলে ইমাম আহমাদ, পৃঃ ২৬৮; সনদ ছহীহ}

    ২. ইমাম আহমাদ বলেন, জাহমিয়া এবং মুতাযিলাদের পিছে ছালাত। আদায় হবে না। { কিতাবুস সুন্নাহ, , ১/ ১০৩}

    ৩. ওয়াকী বিন জাররাহ বলেন, জাহমিয়াদের পিছে নামাজ পড়া উচিত না { আস-সুন্নাহ, ১/ ১১৫ }

    ৪. বুখারী বলেন, জাহমিয়া, রাফেযীদের পিছে নামাজ পড়া আর ইহুদী খৃস্টানের পিছে পড়া সমান। { খলকু আফআলিল ইবাদ, পৃঃ ২২; প্রকারঃ ৫৩}

    মোটকথা, যারা বলে আল্লাহ সবখানেই আছেন তাদের পিছে নামাজ নাহি চালেগা।

    এ বিষয়ে হাফেয উমর সিদ্দিকের দেয়া বাহাসের চ্যালেজ্ঞ দেওবন্দীরা আজো গ্রহণ করেন নাই। সার্চ দিনঃ ilyas ghumman ka munazara sa farari ( hafiz umar siddiq )

    শায়খ যুবায়ের যাই- এর " বিদআতী কে পিছে নামাজ কা হুকম" বই হতে অনুদিত। বইটি পড়ুনঃwww.kitabosunnat.com

    ReplyDelete
  33. আস সালামুয়ালাইকুম
    -
    রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস এর বাস্তব রূপ আজ দেখতে পাচ্ছি...

    ইরবায বিন সারিয়া (রাঃ)হতে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ)বলেন, আর আমার পর তোমাদের কেউ জীবিত থাকলে সে বহূ মতভেদ দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নাত এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত (৪জন খলিফা, আবূ বকর, উমার, উসমান ও আলী রাঃ) খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত অনুসরণ করা হবে তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য।
    এই সুন্নতকে খুব মজবুত করে দাঁত দিয়ে চেপে ধরবে। আর দ্বীনে নতুন উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকবে। কেননা, (দ্বীনে)প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত জিনিসই হচ্ছে বিদ'আত।আর প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা।
    (আহমাদ, আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিজি ২৮১৫, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ১৬৫)

    হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “নবুওয়াত ব্যবস্থা তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে, যতদিন আল্লাহ তাআলা মঞ্জুর করেন। অতঃপর যখন ইচ্ছা, তখন তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পর) তোমাদের মাঝে নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং তা আল্লাহ তাআলা যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (খুলাফায়ে রাশিদিন এর যুগ)। অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নিবেন।
    তারপর হানাহানির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা আল্লাহ তাআলার যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (রাজতন্ত্র)। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তার বিলুপ্তি ঘটবে।
    তারপর জবর দখল তথা আধিপত্য বিস্তারের রাজত্ব কায়েম হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়াতে কিছুকাল বিরাজমান থাকবে (নানা ভূখণ্ডে বর্তমান গণতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ও রকমারি বাদ ও তন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বৈর শাসকগণ) ।
    তারপর যখন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, তখন এরও অবসান ঘটবে। অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত রাষ্ট্র-ব্যবস্থা কায়েম হবে। এ বলে রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ রইলেন”। (মুসনাদে আহমদঃ ৪/২৭৩)

    ReplyDelete
  34. বর্তমানে আমাদের দেশের নামধারী সুন্নীদের পরিচয়:(পোষ্টটি একান্তই ইসলামের আভ্যন্তরীন বিষয়ক)
    বর্তমানে যারা নিজেদেরকে সুন্নী বলে পরিচয় দেয় আর অন্য সকল মুসলমানদেরকে ওহাবী/কাফের বলে বেড়ায় তারা মূলত সূন্নী নয় বরং তারা হ’ল রেজভী বা ইংরেজ দালাল আহমদ রেযা খানের অনুসারী । এরা ইংরেজদের দালালীর ঐতিহাসিক কুখ্যাতিকে সুন্নী নামের অন্তরালে ঢেকে রাখার অসত উদ্দেশ্যে নিজেদেরকে সুন্নী বলে প্রচার করে বেড়ায়। এরা ইংরেজের পক্ষের দালালীর কুখ্যাতিকে সমাজের চোখে আড়াল করে রাখার জন্য নিজেরা সুন্নী নামের মুখোশ ধারণ করে নিয়েছে। যদিও বর্তমানে এদেশে ইংরেজ শাসন টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের পক্ষে দালালী করার সেই পরিবেশ নেই, কিন্তু ধর্মীয় ব্যাপারে রেজভীরা এখন অতি সূক্ষ্ম চক্রান্তের মাধ্যমে ইংরেজদের পক্ষে দালালী করে যাচ্ছে আর ইংরেজরাও লেজটি এখন পর্যন্ত শক্ত হাতে ধারণ করে রেখেছে যাতে করে দেশের প্রতিটি মানুষ বিভ্রান্তির শিকার হয় । আল্লাহ পাক এই সমস্ত কুচক্রীদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন - আমিন ।
    এখানে একটি কথা বলা ভাল যে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত (সুন্নী) প্রকৃত পক্ষে আমাদের নবীর (সাঃ) দল এবং সাহাবী (রাঃ) একই দলের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ।


    (এই রেজভী দলটি ছাড়াও পাক-ভারত উপমহাদেশে আরও অনেক ছোট-বড় দল রয়েছে যারা আক্বীদাগত দিক থেকে পুরাপুরি সুন্নি না )

    ReplyDelete
  35. দুটি চরমপন্থী দলঃ

    একটি দল আছে যারা বলে মাযহাব মানা শিরক, বিদআত, হারাম। এর বিপরীত আরকটি দল আছে যারা বলে মাযহাব মানা ফরয বা ওয়াজিব। যেকোন একটি মাযহাব মানতেই হবে। এই চার মাযহাবের বাহিরে আর ইসলাম নেই। এই উভয় দল দুটি চরমপন্থার শিকার। আলহমদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে এই দুটি চরমপন্থী দল থেকে রক্ষা করেছেন যাদের মাযহাব সম্পর্কে জ্ঞান নেই।

    মধ্যমপন্থা হলোঃ মাযহাব কোন দ্বীন নয়। মাযহাব হলো দ্বীন বুঝার, জানার, পালন করার একটা মাধ্যম মাত্র। মাদ্রাসায় পড়া যেমন শিরক, বিদআত বা হারাম নয় ঠিক তেমনি মাদ্রাসায় পড়া ফরয, ওয়াজিব নয়। তবে দ্বীনি শিক্ষা করা ফরয। তা যেকোন মাধ্যমে হতে পারে। আর কোন মাধ্যমকে দ্বীন মনে করা যেমন সঠিক নয় ঠিক তেমনি কোন মাধ্যমকে হারাম বলাও সঠিক নয়।

    ভারত গুরু মুহাদ্দিস শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রঃ) বাহরুর রাইকের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেনঃ সাধারণ মানুষের কোন মাযহাব নেই। যখন যে মুফতী যে ফাতওয়া দিবেন সেটাই হবে তার মাযহাব। তার ব্যক্তিগত মতামতের কোন গুরুত্ব নেই। আলিমগণ তাই স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। [আল-ইনসাফ ১০৭ পৃষ্ঠা; ইমাম শাহ ওয়ালী উল্লাহ দেহলভী এবং আল- রাইক ২/১৪৮]

    ইমাম ইবনে আবেদীন শামী বলেনঃ মানুষের জন্য নির্দিষ্ট কোন মাযহাব অনুসরণের বাধ্যবাধকতা নেই। সে নিজ মাযহাব অনুসারে যে আমল করছে তা স্বীয় মাযহাবের পরিপন্থি হয়ে গেলেও অন্য ইমামের মাযহাব অনুসারে সেটা জায়েয হলে শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে ঐ আমলকে বাহাল রাখা বৈধ। [রাদ্দুল মুহতার ১/১৬৩; ইমাম ইবনে আবেদীন]

    অন্য মাযহাব অনুসরণের আবু ইউসুফ (রঃ) এর কর্মনীতিঃ
    ইমাম আবু হানীফা (রঃ) এর প্রধান ছাত্র ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ) যাকে ইমামে সানী বা দ্বিতীয় ইমাম বলা হয়, তাঁর থেকে ৩টি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে যাতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, বিপরীত মাযহাব অনুসরণে নামায মোটেই নষ্ট হয় না, যদিও নিজ মাযহাব অনুযায়ী তা নষ্ট হয়ে যায়।
    একটি উদাহরণঃ হাউজের পানি থেকে গোসল করে নামায পড়ানোর পর লোকেরা চলে গেলে তাকে সংবাদ দেয়া হলো যে, তিনি যে হাউজের পানি থেকে গোসল করেছেন তার কূপে এক মৃত ইঁদুর পাওয়া গিয়েছে। তখন তিনি বললেন, তাহলে আমরা মদীনাবাসী ভাইদের অভিমত গ্রহণ করবো যে, যখন পানি দুই "কুল্লাহ" (৪৫ সেঃমিঃ) পরিমাণে পৌঁছে যায় তখন তা অপবিত্র হয় না। [হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ,১/৩৬১; শাহ ওয়ালী উল্লাহ এবং রাদ্দুল মুহতার, ১/১৬৩]
    অর্থাৎ হানাফী মাযহাব অনুযায়ী পানি নাপাক হয়ে যায় কিন্তু ইমাম মালিক (রঃ) এর মাযহাব অনুযায়ী তা নাপাক হয় না। অথচ ইমাম আবু ইউসুফ সেদিন নিজ মাযহাব ত্যাগ করে ইমাম মালিকের মাযহাব অনুযায়ী অজু গোসল এবং নামায বাহাল রেখেছেন। অন্যথায় নিজ মাযহাব অনুযায়ী সেদিন তার অজু, গোসল এবং নামায বাতিল হয়ে যায়।

    অতএব সলফে সালেহীনদের সকলেরই মানহায বা কর্মনীতি ছিলো প্রয়জোনে নিজের মত ত্যাগ করে অন্যের মত গ্রহণ করা।

    ReplyDelete
  36. মনে করুন আমি শাফেঈ মাযহাবের অনুসারী। আমি আমার ইমামের ইজতেহাদ অনুযায়ী আমল করি যে, অজু অবস্থায় স্ত্রীকে স্পর্শ করলে অজু ভেঙ্গে যাবে। পরবর্তীতে কোন এক দিন জানতে পারলাম ইমাম আবু হানীফা (রঃ) বলেছেন যে, না, অজু অবস্থায় কোন স্ত্রীকে স্পর্শ করলে অজু ভঙ্গ হবে না। এখন যদি কেউ আমাকে বলে যে এই দুটি মতের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রঃ) এর মত বা মাযহাব এখানে সঠিক। আর সঠিক হওয়ার দলিল পেশ করে যে, "বিষয়টির সমাধান নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কর্ম থেকে ছহীহ্ হাদীছে পাওয়া যায়ঃ
    عن عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُقَبِّلُ بَعْضَ أَزْوَاجِهِ ثُمَّ يُصَلِّي وَلَا يَتَوَضَّأُ
    আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো তাঁর কোন স্ত্রীকে চুম্বন করতেন অতঃপর নামায পড়তেন কিন্তু ওযু করতেন না।” (তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ্, আহমাদ)

    সঠিক দলিল প্রমাণ পাওয়ার পরও কি আমি আমার মাযহাবের অন্ধভাবে অনুসরণ করবো নাকি ইমাম আবু হানীফা (রঃ) যে বিশুদ্ধ দলিল দিয়ে প্রমাণ করলেন সেই দিকে ফিরে আসবো?
    আমি যদি জেনে শুনে ফিরে না আসি তাহলে আমি কি মনে করতেছি না যে, আমার ইমাম (রঃ) রাসুল (সাঃ) থেকে বেশি তাকওয়াশীল। রাসুল (সাঃ) এর অজু ভঙ্গ হয় না আমার ইমামের অজু ভঙ্গ হয়ে যায়। আর আমি যদি ইমাম আবু হানীফা(রঃ) এর মতকে সঠিক মনে করে আমল করি তা তো ইমাম আবু হানীফার অনুসরণ হলো না এটা তো রাসুল (সাঃ) এর অনুসরণ করা হলো। আমার ইমাম (রঃ) এর কাছে হয়তো এই হাদীস পৌঁছেনি অথবা জানা ছিলো না, অথবা যে সনদে পৌঁছেছে তা সঠিক সনদ ছিলো না। আমার ইমামের তো কোন দোষ নেই তিনি যথা সম্ভব চেষ্ঠা করেছেন ইজতেহাদ করে সঠিক মাসালা বের করার। তাঁর চেষ্টায় যদি ভুল হয় তবুও তিনি একটি সাওয়াব পাবেন। কিন্তু আমি যখন জানতে পারলাম আমার ইমামের মতামত সঠিক নয় তারপরও কি আমি ভুলকে আঁকড়ে ধরে থাকবো? তাহলে কি জবাব দেবো আল্লাহর দরবারে রাসুল (সাঃ) আমল "নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো তাঁর কোন স্ত্রীকে চুম্বন করতেন অতঃপর নামায পড়তেন কিন্তু ওযু করতেন না।" এই সঠিক দলিল জানার পর।

    আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাযহাব কি তা বুঝার তাওফীক দান করুন এবং সঠিক দলিল বুঝার ও আমল করার তাওফীক দান করুন আমিন।

    ReplyDelete
  37. একজন গ্রহণযোগ্য রাবীর হাদীষ বর্ননা যদি অনেক জন গ্রহনযোগ্য রাবীর হাদীষ বর্ননার বিপরিত হয় তাহলে সেই হাদীষকে শায হাদীষ বলে।

    আর অগ্রহযোগ্য রাবীর হাদীষ বর্ণনা যদি গ্রহনযোগ্য রাবীর হাদীষ বর্ণনার বিপরিত হয় তাহলে সেই হাদীষকে মুনকার হাদীষ বলে।

    -উভয় প্রকার হাদীষই যঈফ যা গ্রহন যোগ্য নয়।

    --শায়খ আবু জায়েদ জামীর (হাফিজাহুল্লার) হাদীসকি বাদ উসুল থেকে।
    باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

    পরিচ্ছেদঃ হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত। নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রেওয়ায়েত গ্রহণ করা উচিত নয়। বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রুটি তুলে ধরা শুধু জায়েয নয় বরং ওয়াজিব। এটা গীবত নয়, যা শরী’আতের দৃষ্টিতে হারাম, বরং এতে শরী’আতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত থাকে।

    حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَهِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، وَحَدَّثَنَا فُضَيْلٌ، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ وَحَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ دِينٌ فَانْظُرُوا عَمَّنْ تَأْخُذُونَ دِينَكُمْ .

    হাসান বিন রাবী‘ (র)... মুহাম্মদ বিন সীরীন (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ নিশ্চয়ই এই ইলম হলো দীন। কাজেই কার কাছ থেকে তোমরা দীন গ্রহণ করেছ, তা যাচাই করে নাও।

    (সহীহ আল মুসলিম)

    ReplyDelete
  38. ®®® মাতৃভাষায় জুমু'আর খুতবা দেয়ার বিধান -(শাইখ আখতারুল আমান বিন আব্দুস সালাম)+[[[আবদুর রাক্বীব মাহ্দী বিন মিলন হোসাইন ]]] ®®®

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার খুতবায় আল্লাহর তারীফ করতেন, দরুদ পড়তেন, কুরআন থেকে তেলাওয়াত করতেন এবং কিছু ওয়াজ-নছীহত ও করতেন। নবীদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন:

    وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ

    “আমি সব নবীকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে।” (সূরা ইবরাহীম: ৪)

    রসুলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাতৃভাষা যেহেতু আরবী ছিল এবং ছাহাবীদেরও ভাষা আরবী ছিল, তাই তিনি আরবীতেই তাদেরকে নছীহত করতেন। এখন যারা নবীজির নায়েব হয়ে জুমার খুতবা দিবেন তাদেরকেও উল্লেখিত আয়াত ও হাদীছ অনুসারে তাদের শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়াটা শরীয়ত সম্মত এবং যুক্তি সংগত।
    • এই কারণেই ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলেন: প্রত্যেক খতীবকে জুমার সময় তাঁর মাতৃভাষায় ওয়াজ করা ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য। (তানক্বীহুর রুওয়াত ১/২৬৪)
    • আল্লামা তাহাভী হানাফী বলেন: জুমার খুতবা আরবী জানলেও ফারসী ভাষায় ও চলবে। (হাশিয়া তাহতাবী আলা মারাক্বিল ফালাহ ২৭)
    • আল্লামা আব্দুল হাই লাখনভী হানাফী (রহ) বলেন: শ্রোতাদেরকে তাদের মাতৃভাষায় খুতবা বুঝিয়ে দেয়া জায়েজ। (মাজমূআহ ফাতাওয়া ১/২৪৫)
    • হানাফী ফিক্বহ গ্রন্থ নিহায়া, মুজতাবা, ফাতাওয়া সিরাজিয়্যাহ, মুহীত প্রভৃতি গ্রন্থে আছে যে, ইমাম আবূ হানীফার মতে ফারসী ভাষাতে জুমার খুতবা দেয়া জায়েজ।
    • হানাফী ফতোয়ার কিতাব শামীতে আছে, আরবী ভাষায় খুতবা দেয়া শর্ত নয়।
    • হানাফী ফিকহ গ্রন্থ হিদায়ায় আছে, প্রত্যেক ভাষায় খুতবার নছীহত চলতে পারে। (কিতাবুল জুমআহ ৫৫-৫৬) (আলোচনা দ্র: আইনী তোহফা সলাতে মুস্তফা১/৯৮-৯৯)
    খুতবারা আগে বয়ান একটি বিদআত:
    নিজ ভাষায় খুতবা না দেয়ার কারণে যেহেতু তা মানুষের বোধগম্য হয় না এজন্যই এই খুতবার আগে খতীবগণ বয়ানের ব্যবস্থা রেখেছেন, যা শরীয়তের দৃষ্টিতে একটি জঘন্যতম বিদআত। কারণ খুতবা দানের পূর্বে বয়ান দেয়া এবং ইহাকে এভাবে স্থায়ী রূপ দেয়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আদৌ প্রমাণিত নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবার পূর্বে কখনো এ ধরণের বয়ান দেন নি। দিতে বলেছেন বলে ও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
    এজন্যই এ সঊদী আরবের বরেণ্য মুফতী শাইখ ইবনে উসাইমীন (রহ:)কে মাতৃভাষায় খুতবা প্রদান সম্পর্কে সওয়াল করা হলে তিনি তা সরাসরি জায়েজ বলে মন্তব্য করেন এবং একথা স্পষ্ট ভাবে বলেন যে, খতীবকে নিজ ভাষায় খুতবা দিতে হবে। (দেখুন: শাইখ ইবনে উসাইমীনের ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম)
    বর্তমানে আমাদের দেশের বেশ কিছু জামে মসজিদে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়া হয়ে থাকে। বস্তুত: এটাই সুন্নত। এর বিপরীত সুন্নত বিরোধী কাজ যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক ইলম দান করুন এবং যাবতীয় বিদআত পরিত্যাগ করার তাওফীক দিন (আমীন)
    লেখক: শাইখ আখতারুল আমান বিন আব্দুস সালাম
    সম্পাদনা: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

    ReplyDelete
  39. কাবলাল জুমুআ বা জুমুআর আগে চার রাকাত ছালাত সুন্নাত পড়া

    ** জুমআর আগে চার রাকাত ( কাবলাল জুমুআ) পড়ার হাদীছগুলি ছহীহ সনদে বর্ণিত নয় । আর খতীবের খুতবা শুরু করার আগে ইচ্ছামত ২,৪,৬,৮ রাকাত নফল পড়া যেতে পারে । কাবলাল জুমুআ-এর দলীলগুলি সংক্ষিপ্ত আকারে পর্যালোচনা করা হলঃ
    ** ইবনে মাজাহ (হা/১১২৯), মু'জামুল কাবীর (হা/১২৬৭৪)- এর সনদের প্রায় সবগুলি রাবীই ক্রটিযুক্ত । তাদের মধ্য হতে অন্যতম রাবী হলেন মুবাশ্বির ইবনে উবাইদ । তার অবস্থান তুলে ধরা হলঃ
    ১. তিনি মুনকারুল হাদীছ ।{তারীখে কাবীর, ইমাম বুখারী,রাবী নং-১৯৬০}
    ২. তিনি খুবই দুর্বল ।{মুজামুছ ছহাবাহ,রাবী নং-১০৫৯}
    ৩. একই বর্ণনা তিনি একেক সময় একেক রকমভাবে পেশ করতেন । {আল-মাজরুহীন,ইবনে হিব্বান,রাবী নং-১০৭৫}
    ৪. তিনি হাদীছ জাল করতেন ।{আল-কামিল,রাবী নং-১৯০০}
    ৫. তিনি হাদীছ জালকারী ।{তারীখে আসমায়ে যুয়াফা ওয়াল কাযযাবীন,রাবী নং-৬৪৪}
    ৬. তিনি মিথ্যুক ।{আয-যুয়াফাউ ওয়াল মাতরুকীন, ইমাম দারাকুতনী, রাবী নং-৪৯৯}
    ৭. তিনি কাযযাব । {আয-যুয়াফাউ ওয়াল মাতরুকীন, ইবনুল জাওযী,রাবী নং-২৮৩৯}
    ৮. তিনি কিছুই নন । {তাহযীবুল কামাল,২৭/১৯৫}
    ৯. তিনি মুনকারুল হাদীছ বা অস্বীকৃত । {ঐ,২৭/১৯৬}
    ১০. ইমাম আহমাদ বলেছেনঃ সে হাদীছ করতো । {আল-মুগনী, রাবী নং-৫১৬৮}
    ১১. তার বর্ণিত হাদীছ সমুহ সাব্যস্ত নয় ।{আল-মুক্বতানা, রাবী নং-৬৪৭}
    ** মুজামুল আওসাত্ব (হা/৪১১৬),ইবনে আবী শাঈবাহ (হা/ ৫৩৬০) এবং মু'জামু ইবনে আরাবী (হা/৮৬৫৪)- গ্রন্থসমহেও চার রাকাত পড়ার কথা এসেছে । এ সকল হাদীছের সনদসমুহে আত্তাব ইবনে বাশীর এবং খুছাঈফ ইবনে আব্দুর রহমান - নামক রাবী আছেন । তাদের ব্যাপারে যা বলা হয়েছেঃ
    ১. আত্তাব ইবনে বাশীর তার শেষ জীবনে মুনকার বা বাতিল হাদীছসমুহ বর্ণনা করতেন । {আল-কামিল,৩/৫২৩}
    ২. আর খুছাইফ শক্তিশালী রাবী নন ।{আয-যুয়াফাউ ওয়াল মাতুরকীন ,ইমাম নাসাঈ, রাবী নং-১৭}
    ৩. ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন খুছাঈফকে যঈফ বলেছেন ।{আল-জারহু ওয়াত-তা'দীল, ইবনে আবী হাতিম, রাবী নং-১৮৪৮}
    ৪. ইমাম আহমাদ তাকে যঈফ বলেছেন ।{ঐ,রাবী নং-১৮৪৮,আল-মাওযুআত,ইবনুল জাওযী,রাবী নং-১১১০}
    ৫. তার হেফজ শক্তি বাজে ।{ঐ,রাবী নং-১৮৪৮}
    ৬. খুছাঈফ প্রচুর ভুল করতেন ।{আল-মাজরুহীন, ইবনে হিব্বান, রাবী নং-৩১৫}
    ৭. তিনি হাদীছ বর্ণনায় শক্তিশালী ছিলেন না । {আল-কামিল,রাবী নং-৬১৯}
    ৮. ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইমাম আলী ইবনুল মাদিনী । ইবনুল মাদিনীর উস্তাদ ইমাম ইয়াহইয়া আল-ক্বাত্বান বলেছেনঃ {আয-যুয়াফা ওয়াল মাতুরকীন,ইবনুল জাওযী, রাবী নং-১১১০}
    ৯. তিনি হাদীছ বর্ণনায় শক্তিশালী নন । {বুগইয়াতুত তালাব,৭/৩২৭১}
    ১০. ইমাম দারাকুত্বনী বলেনঃ তিনি ভ্রান্তিতে পতিত হতেন । {ঐ,৭/৪২৭৪}
    ১১. তার স্মৃতি এতই খারাপ যে অল্প বর্ণনায়ও ভুল বেশী হত । {আল-কাশিফ, রাবী নং-১৩৮৯}
    ১২. ইমাম আহমাদ সহ অন্যান্য মুহাদ্দীছগণ খুছাঈফকে যঈফ আখ্যায়িত করেছেন ।{আল-মুগনী ফিয যুয়াফা, রাবী নং-১৯১২}
    ** আব্দুর রাজজাক (হা/৫৫২৫), মু'জামুল কাবীর (হা/৯৫৫১)- এ যে সনদ সমুহ এসেছে সেগুলোতে রাবী আছ-ছাওরী রয়েছেন । আর তিনি মুদাল্লিস রাবী হিসেবে পরিচিত । এবং মুদাল্লিস রাবীর আন আন শব্দে বর্ণিত হাদীছ সর্বসম্মতিক্রতে যঈফ । আর এ সনদ দুটোতে আছ-ছাওরী আন আন শব্দে হাদীছ বর্ণনা করেছেন । তাই সনদ দুটি বর্জনযোগ্য ।
    ** মুজামুল আওসাত্ব (হা/১৬১৭)- এ হাদীছের সনদে ইবনে ইসহাক্ব নামক রাবী রয়েছেন । তার সুনাম থাকলেও তিনিও মুদাল্লিস রাবী হিসেবে বিখ্যাত । তিনিও এখানে আন আন শব্দে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন । তাই এ হাদীছও অগ্রহণযোগ্য ।
    ** আরো দু চারটা হাদীছ পাওয়া যায় তবে সেগুলোর অবস্থাও করুন । আর যদি তর্কের খাতিরে মানা হয় যে জুমুআর চার রাকাত পড়ার হাদীছগুলি ছহীহ বা হাসান ,তারপরও উক্ত হাদীছসমুহ দ্বারা এ কথা প্রমাণিত হয় না যে, প্রথমে বাংলায় বক্তৃতা দিতে হবে । তারপর নির্দিষ্ট সময়ে তথা আরবী খুতবার আগে আগে চার রাকাত পড়তে হবে । এক কথায়, দু খুতবার মাঝে নির্দিষ্ট করে চার রাকাত পড়ার কথা কোন জাল হাদীছেও বর্ণিত হয়নি ।
    ** বক্তৃতা আর খুতবা এক নয় ।{নুরুল ইসলাম ওলীপুরী,মাযহাব কি ও কেন ,পৃ :৪২}
    ভালো কথা । তাই বলে যে বক্তৃতা আর খুতবার মাঝের সময়ে খাছ করে চার রাকাত পড়তে হবে তার দলীল কোথায় ?
    ** খুতবা শুরুর আগ পর্যন্ত চার রাকাত কিংবা তারও অধিক ছলাত পড়তে পারবেন ।

    ReplyDelete
  40. আল্লাহ সবখানে বিরাজমান-- এটা জাহমীয়াদের আকীদা। জাহম বিন ছফওয়ান বলতেন, আল্লাহ সবখানেই আছেন। { সিয়ার, ৬/ ২৬}

    যারা আল্লাহকে সর্বত্র বিরাজমান দাবী করেন তারা জেনে শুনে এমন বললে জাহমিয়াদের। সাথেই তাদের হাশর হবে। ইনশা আল্লাহ। জাহমিয়া সম্পর্কে ইমামদের মতামতঃ

    ১. সালাম বিন মুতী' বলেন, জাহমিয়ারা কাফের তাদের পিছে ছালাত হবে না।{ মাসায়েলে ইমাম আহমাদ, পৃঃ ২৬৮; সনদ ছহীহ}

    ২. ইমাম আহমাদ বলেন, জাহমিয়া এবং মুতাযিলাদের পিছে ছালাত। আদায় হবে না। { কিতাবুস সুন্নাহ, , ১/ ১০৩}

    ৩. ওয়াকী বিন জাররাহ বলেন, জাহমিয়াদের পিছে নামাজ পড়া উচিত না { আস-সুন্নাহ, ১/ ১১৫ }

    ৪. বুখারী বলেন, জাহমিয়া, রাফেযীদের পিছে নামাজ পড়া আর ইহুদী খৃস্টানের পিছে পড়া সমান। { খলকু আফআলিল ইবাদ, পৃঃ ২২; প্রকারঃ ৫৩}

    মোটকথা, যারা বলে আল্লাহ সবখানেই আছেন তাদের পিছে নামাজ নাহি চালেগা।

    এ বিষয়ে হাফেয উমর সিদ্দিকের দেয়া বাহাসের চ্যালেজ্ঞ দেওবন্দীরা আজো গ্রহণ করেন নাই। সার্চ দিনঃ ilyas ghumman ka munazara sa farari ( hafiz umar siddiq )

    ReplyDelete
  41. অন্য আয়াতে আছে- বরং তারা জীবিত ও জীবিকা প্রাপ্ত ।৩ঃ১৭০
    মোহাম্মদ সাঃ চল্লিশ অথবা সত্তর জন সাহাবী বিরে মুআওনাহ এর দিকে পাঠিয়েছিলেন কলেমার পৌছানর জন্য ।এই আয়াত এর ভাবার্থ - হযরত মাসরুক রঃ বলে আমরা আব্দুল্লাহ রাঃ জিজ্ঞেস করেছিলাম এর ভাবার্থ তিনি বললেন রাসুল সাঃ এর ভাবার্থ বলেছেন এইরুপ তাদের আত্মা সুমহ সবুজ রঙ এর পাখির দেহের মধ্য রয়েছেন তাদের জন্য আরসে লটকান আছে প্রদীপ সুমহ ওই প্রদীপ সুমহে আরাম লাভ করে থাকে ।সারা জান্নাতের মধ্য যে কোন জায়গাই তারা বিচরন করে।আর শহিদ গন আশা করে তারা যেন দুনিয়াতে ফিরে এসে আবার আল্লাহর পথে জিহাদ করতে শহিদ হতে পারে।তারা জান্নাতের বৃক্ষরাজির ফল খেয়ে থাকেন ইবনে কাসির ২১৯ পেজ।

    আল ইমরান (৩ঃ১৪৪)
    وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ الرُّسُلُ ۚ أَفَإِن مَّاتَ أَوْ قُتِلَ انقَلَبْتُمْ عَلَىٰ أَعْقَابِكُمْ ۚ وَمَن يَنقَلِبْ عَلَىٰ عَقِبَيْهِ فَلَن يَضُرَّ اللَّهَ شَيْئًا ۗ وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ [٣:١٤٤]

    আর মোহাম্মদ সাঃ একজন রসূল বৈ তো নন। নিঃসন্দেহ তাঁর পূর্বে রসূলগণ গত হয়ে গেছেন। অতএব তিনি যদি মারা যান অথবা তাঁকে কাতল করা হয় তাহলে কি তোমরা তোমাদের গোড়ালির উপরে মোড় ফেরাবে? আর যে কেউ তার গোড়ালির উপরে মোড় ফেরে সে কিন্তু, আর আল্লাহ্ অচিরেই পুরস্কার দেবেন কৃতজ্ঞদের।
    শহীদদের আল্লাহ্‌ জীবিত বলেছেন, সুরা বাকারায় ১৫৩-১৫৫ আয়াতে দেখতে পাবেন। তাফসিরে ইবনে কাসিরে এই আয়াতের ব্যখ্যায় নাসাইর হাদিস নিয়ে এনেছেন। শহীদদের আল্লাহ্‌ বার বার জিজ্ঞেস করবেন আরও কি চাও, শহীদরা অবশেষে বলবেন পৃথিবীতে ফিরে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে আবার শহিদ চাই, কিন্তু এই বিষয়টা গ্রহন হবে না। অর্থাৎ এই জীবন দুনিয়ার সাথে সম্পর্ক হীন বারজাখি জীবন। কিন্তু দেওবন্দের আকিদা রসুল সঃ শুধু কবরে জীবিতই না, সশরীরে দেওবন্দে এসে এই মাদ্ররাসার সীমানাও ঠিক করে গেছেন। এটা সম্পূর্ণ কুফরি আকিদা।

    ReplyDelete
  42. ৮০১ হিজরিতে তুরকি শাসকরা মুসলিম জাতির প্রাণকেন্দ্র কাবা গৃহে ৪ মাজহাবের নামাযের জন্য ৪টি আলাদা আলাদা মুছাল্লা (ইমামের দাঁড়ানোর জায়গা) তৈরি করে। ৪ মাজহাবি ইমাম আলাদা আলাদা ভাবে নামায পড়াত। ফলে মুসলিম জাতি ৪ ভগে ভাগ হয়ে জাহেলিয়াতের মধ্যে ডুবে যায়। পরে ১৩৪৩ হিজরিতে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা সাম্মানিত বাদশাহ আব্দুল আযিয আল সাউদ (রাহিমাহুল্লাহ) ওই ৪ মুছাল্লা ভেঙ্গে ফেলেন। ফলে কুরআন-হাদিসের বিধান মত মুসলিম জাতি আবার ইব্রাহিমি মুছাল্লায় ১ ইমামের পিছনে নামায আদায় সুযোগ পেয়েছে। যা আজও চালু আছে।

    ReplyDelete
  43. প্রশ্ন : আমাদের দেশে বড় ধরনের কি কি বিদ‘আতী কাজ সংঘটিত হচ্ছে-যার সাথে শরী‘আতের কোনো সম্পর্ক নেই ?

    উত্তর: একজন খাঁটি মুসলিম কোনো আমল সম্পাদনের পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখবে যে, তার কৃত আমলটি কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত কি-না। কিন্তু আমাদের দেশের সহজ-সরল ধর্মপ্রাণ মানুষ এমন অনেক কাজ বা আমলের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে রেখেছেন, যার সাথে শরী‘আতে মুহাম্মাদীর কোনোই সম্পর্কে নেই। এমন উল্লেখযোগ্য বিদ‘আত হলো:

    ১. ‘মীলাদ মাহফিল-এর অনুষ্ঠান করা।
    ২. ‘শবে বরাত’ পালন করা।
    ৩. ‘শবে মিরাজ উদযাপন করা।
    ৪. মৃত ব্যক্তির কাযা বা ছুটে যাওয়া নামাযসমূহের কাফ্ফারা আদায় করা।
    ৫. মৃত্যুর পর তৃতীয়, সপ্তম, দশম এবং চল্লিশতম দিনে খাওয়া-দাওয়া ও দো‘আর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
    ৬. ইসালে সাওযাব বা সাওয়াব রেসানী বা সাওয়াব বখশে দেওয়ার অনুষ্ঠান করা।
    ৭. মৃত ব্যক্তির রূহের মাগফিরাতের জন্য অথবা কোনো বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশে খতমে কুরআন অথবা খতমে জালালীর অনুষ্ঠান করা।
    ৮. উচ্চকণ্ঠে বা চিৎকার করে যিকর করা।
    ৯. হালকায়ে যিকরের অনুষ্ঠান করা।
    ১০. মনগড়া তরীকায় পীরের মূরীদ হওয়া।
    ১১. ফরয, সুন্নাত, নফল ইত্যাদি সালাত শুরু করার পূর্বে মুখে উচ্চারণ করে নিয়্যাত পড়া।
    ১২. প্রস্রাব করার পরে পানি থাকা সত্ত্বেও অধিকতর পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে কুলুখ নিয়ে ২০/৪০/৭০ কদম হাঁটাহাঁটি করা বা জোরে কাশি দেয়া অথবা উভয় পায়ে কেঁচি দেওয়া, যা বিদ‘আত হওয়ার পাশাপাশি বেহায়াপনাও বটে।
    ১৩. ৩টি অথবা ৭টি চিল্লা দিলে ১ হাজ্জের সাওয়াব হবে- এমনটি মনে করা।
    ১৪. সম্মিলিত যিকর ও যিকরে নানা অঙ্গভঙ্গি করা।
    ১৫. সর্বোত্তম যিকর ‘‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ”-কে সংকুচিত করে শুধু আল্লাহ, আল্লাহ বা হু, হু, ইল্লাল্লাহ করা ইত্যাদি।

    উল্লিখিত কার্যসমূহ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরাম এমনকি মহামতি ইমাম চতুষ্টয়েরও আমলের অন্তর্ভুক্ত ছিল না এবং কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিতও নয়। সুতরাং এ সবই বিদ‘আত, যা মানুষকে পথভ্রষ্টতার দিকে পরিচালিত করে- যার চূড়ান্ত পরিণতি জাহান্নামের আযাব ভোগ করা। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের এসব বিদ্আতী কর্মকাণ্ড হতে হিফাযত করুন-আমীন।

    ReplyDelete
  44. নবী (ছা) বলেন, আদম আমাকে নিয়ে গর্ব করেন। আর আমি আমার উম্মতের এক ব্যাক্তিকে নিয়ে গর্ব করি। তার নাম নুমান। তার উপনাম আবু হানীফা।সে আমার উম্মতের প্রদীপ।{ দুররুল মুখতার হাশিয়াহ, ইবনে আবেদীন১/ ৫২}

    " যে তাকে ভালবাসবে সে আমাকে ভালোবাসলো। আর যে তাকে ঘুণা করবে সে আমাকেই ঘুণা করবে।{ প্রাগুক্ত।

    দুটাই জাল হাদীছ।

    সেই প্রদীপ সম্পরকে ইমাম বুখারী এবং হাফেয ইবনে হিব্বানের কথা শুনুনঃ

    ( পূর্বের পোস্ট থেকে)

    এবার ইমাম বুখারীর কথা শ্রবণ করুনঃ

    ১. ইমাম বুখারী বলেন, তিনি মুরজিয়া ছিলেন। মুহাদ্দিছগন তার বিষয়ে চুপ থেকেছেন। { তারীখে কাবীর, রাবী নং- ২২৫৩}

    ইমাম বুখারীর মত মুহাদ্দিছ, আমীরুল মুমিনীন ফিল হাদিস, হুজ্জাতও মুরজিয়া বলে দিলেন।

    ২. ইমাম আবু হানীফা রহ- সম্পরকে ইমাম ইবনে হিব্বান বলেছেনঃআবু হানীফা ছিলেন একজন তারকিক। বাহি্যকরুপে তার পরহেযগারিতা ছিল। হাদীছ তার কাজের মধ্যে ছিল না। তিনি ১৩০টি মুসনাদ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। সেগুলি ব্যাতিত তার আর কোন হাদীছ দুনিয়ায় নেই।যার মধ্যে ১২০ টি হাদীছেই তিনি ভুল করেছেন। হয় সনদ পাল্টিয়ে ফেলেছেন। কিংবা না জেনেই মতন চেনজ করে ফেলেছেন। সুতরাং, তার সঠিকের চেয়ে ভুলগুলিই বেশী তখন হাদীছের কে্ষেত্র তাকে গ্রহন করার চাইতে তাকে বর্জন করাই উপযোগী।

    অন্য আরেকটি কারণে তার দ্বারা দলীল গ্রহন করা জায়েয নেই। তা হল, কারণ তিনি মুরজিয়া মতের প্রতি দাওয়াত দিতেন। এবং তিনি বেদআতের প্রতি দাওয়াত দিতেন। { হাফেয ইমাম ইবনে হিব্বান, আল- মাজরুহীন, ৩/ ৬৩,৬৪}

    আরো বহু কথা রয়েছে। যেমন বলা হয়েছেঃ
    কুফরির কারণে আবু হানীফাকে দু বার তওবা করানো হয়েছিল-- এ। কথাটাও তিনি একই কিতাবে বর্ণনা করেছেন। { ঐ, ৩/ ৬৪}

    আমি কম করে বলাতে কাযযাবের মনে দারুণ আঘাত লেগেছিল। আজকে একটু বেশী কথা বর্ণনা করে দিলাম।তাতেও মন না ভরলে আরো কথা অনুবাদ করে দেয়া হবে ইনশা আল্লাহ।

    এগুলি আমার কথা নয়। হাদীছের হাফেয ইমাম ইবনের হিব্বানের কথা এগুলি। গালাগালি করতে চাইলে উনাকেই করা যেতে পারে।

    তবে অনুবাদে ভুল করলে সংশোধনের জন্য আবেদন রইল।

    কোন ওলী পা নেক বান্দাকে ততটুকু প্রশংসা করতে হবে যতটুকু তাকে দান করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশী করা হল গুলু বা বাড়াবাড়ি।

    যাই হোক, দুররে মুখতারের কথানুসারে ইমাম বুখারী এবং ইমাম ইবনে হিব্বানের কি সাজা হতে পারে?

    ReplyDelete
  45. আমার উম্মতে একজন লোক হবে যে ইবলীসের চাইতেও ক্ষতিকর হবে। তার নাম মুহাম্মাদ বিন ইদরীস ( ইমাম শাফেঈ)। আর আমার উম্মতের মাঝে একজন ব্যাক্তি হবে যে আমার উম্মতের বাতি হবে।তার নাম আবু হানীফা।

    এটা জাল হাদীছ।{সিলসিলাহ যঈফাহ, হা/৫৭০}

    একেই বলে মাযহাবী ঐক্যতা।

    ReplyDelete
  46. সহিহ হাদিসে কুদসি, ১/ বিবিধ১. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা যখন কোন পাপ করার ইচ্ছা করে, তখন তোমরা তা লিখ না যতক্ষণ না সে তা করে। যদি সে তা করে সমান পাপ লিখ। আর যদি সে তা আমার কারণে ত্যাগ করে[1], তাহলে তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। আর যদি সে নেকি করার ইচ্ছা করে কিন্তু সে তা করেনি, তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। অতঃপর যদি সে তা করে তাহলে তার জন্য তা দশগুণ থেকে সাতশো গুণ পর্যন্ত লিখ”। [বুখারি ও মুসলিম] হাদিসটি সহিহ।

    [1] এ থেকে প্রমাণ হয় যে, পাপ ত্যাগ করাও নেকি, যদি তা আল্লাহর জন্য হয়।

    ReplyDelete
  47. মোল্লা আলী কারী হানাফী (রহ) বলেন:
    ================================
    জেনে রাখ, নবীগণ (আ) অদৃশ্য বা গাইবেরবিষয়াদির বিষয়ে আল্লাহ কখনো কখনো যা জানিয়েছেন তা ছাড়া কিছুই জানতেন না। হানাফী মাযহাবের আলিমগণ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, রসুলুল্লাহ (সা) গাইব জানতেন বলে আকীদা(বিশ্বাস) পোষণ করা ‪#‎কুফরী‬, কারণ তা আল্লাহর এ কথার সাথে সাংঘর্ষিক: বল(হে মুহাম্মাদ) আল্লাহব্যাতিত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে কেউই অদৃশ্য (গাইব) বিষয়ে জ্ঞান রাখে না।

    (মোল্লা আলী কারী হানাফী: শারহুলফিকহিল আকবার, পৃ: ২৫৩)

    আবারো খেয়াল করুন, যারা ভাবেন যে, রসুল (সা) আলেমুল গাইব, “হানাফী মাযহাবের আলিমগণ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে,রসুলুল্লাহ (সা) গাইব জানতেন বলে আকীদা (বিশ্বাস) পোষণ করা #কুফরী”

    ReplyDelete
  48. হাদীছ এবং সুন্নাতের মাঝে সর্বপ্রথম যিনি পার্থক্য করেছেন তিনি হলেন গোলাম মির্যা আহমাদ কাদিয়ানি-- শায়খ যুবায়ের যাঈ রহ-।

    সার্চ দিনঃ Sawal Jawab- Sheikh Zubaer Ali Zai-3

    ReplyDelete
  49. মাঝে মধ্যে আমি খারেজিদের ওয়েব সাইটগুলোতে ঢুকি। আর খুঁজে দেখি এইদের মধ্যে কোন জ্ঞানি অর্থাৎ আলেম আছে কিনা। কিন্তু আমি হারিকেন দিয়ে খুঁজে দেখেও কোন একজন আলেম খুঁজে পাইনি। পেয়েছি কিছু জাহেল অহংকারী যারা নিজেদের বড় আলেম মনে করে। কিন্তু একটা বই
    লিখতে দিলে এরা হাজারটা ভুল করে। এমন কিছু খারেজি জাহেলদের নাম দেয়া হল:
    ১) আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসি
    ২) আবু বাশীর আত তার্তুসী
    ৩)আবু হামযা আল মিসরি
    ৪)আবু কাতাদাহ
    ৫)আসেম উমার
    ৬)জসিম উদ্দিন (স্বঘোষিত মুফতী) প্রমুখ।

    গতরাতে 'ইসলামী সংকলন' নামে একটা খারেজি ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখি উস্তাদ যাকির নায়েককে
    (হাফিজাহুল্লাহ) ফেইক স্কলার বলে তাঁর কঠর সমলোচনা করেছে। উপরে যে সমস্ত খারেজি জাহেলদের নাম দিলাম এরা উস্তাদ যাকির নায়েকের সাথে বিতর্ক করলে নাকানি চুবানি খেয়ে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলবে।

    ReplyDelete
  50. আহলে হাদীসদের প্রতি চ্যালেঞ্জ! লা-মাযহাবীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ!! সহীহ আকিদার যারা দাবীদার তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ!!!
    -
    -
    -
    এই চ্যালেঞ্জের অহংকার ধ্বংসের কারণ হতে পারে। তার চাইতে আত্মসমালোচনা করে নিজেরা কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সংশোধন হলেই বেশি লাভ। দুনিয়ার এই অন্ধ অক্রোশের চ্যালেঞ্জ আখিরাতে কোন কাজে আসবে না। আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়ে আখিরাতকে প্রাধান্য দিয়ে সর্বদা নিজেকে সংশোধনের মানসিকতা নিয়ে সঠিকটাকে গ্রহণের মাধ্যমে দ্বীন মেনে চলতে পারলেই ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ।

    ReplyDelete
  51. আস সালামুলাইকুম,
    আল হামদুলিল্লাহ । সত্য উন্মোচন করার জন্য সহিহ ব্লগ পেলাম । ইনশা আল্লাহ্‌, আল্লাহ্‌ সহায়ক হবে । নিম্নে একটি লিংক দিলাম, যেখানে তারা মিথ্যা ছড়াচ্ছে । যাযালাল্লাহুখাইরান ।
    https://www.youtube.com/channel/UC-OiL4ZmVumS0UyZfoUCQZw/videos

    ReplyDelete
  52. ★★ দেওবন্দী পীর থানভীর কারামত:ইলমে গায়েব★★

    ১। এক ব্যাক্তি হাক্বিমুল উম্মাতের জন্য আখের গুড় হাদিয়া সরুপ আনিল, কিন্তু তিনি উহা গ্রহন করিলেন না। পরে জানা গেল যে, ঐ গুড় ছিল যাকাতের।
    ( এ বিশ্বাস কি ইলমে গায়েব প্রমাণ করে না? তাহলে আল্লাহ ছাড়া অন্যরাও গায়েব জানে এ বিশ্বাস কুর'আন, সুন্নাহ পরিপন্থী নয় কি?)

    ২। কেহ হযরত হাক্বিমুল উম্মতের খেদমতে এছলাহের জন্য আসিলে তিনি তাহার গোপন রোগ ধরিতে পারিতেন। তাহার নিকট কোন রোগ গোপন রাখার উপায় ছিল না। ( তবে কি তিনি গায়েব জানতেন ধরে নেয়া যায়না? নাউযুবিল্লাহ)

    ৩। তাহার কোন ভক্ত রোগ মুক্তির জন্য দু'আ চাহিয়া পত্র লিখিলে লেখার সংগে সংগে নিরাময় হইয়া যাইত।

    ৪। তাহার জনৈক খলীফা বলেন, ( নামের হাদীস নাই) একদা আলীগড়ের শিল্প প্রদর্শনীতে দোকান খুলিয়া ছিলাম। মাগরিবের পর প্রদর্শনীর কোন এক স্টলে আগুন লাগে। আমি একাকী আমার মালপত্র সরাইতে সক্ষম হইতে ছিলাম না। আকস্মাৎ দেখিলাম, হযরত হাক্বিমুল উম্মত আমার কাজে সাহায্য করিতেছেন। তাই আমার বিশেষ কোন ক্ষতি হয় নাই। পরে জানিলাম, হযরত তখন থানাভীনেই অবস্থান করিতেছিলেন। ( বেহেশতি জেওর বাংলা ১ম খন্ড ৯ পৃষ্ঠা)

    সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা! লক্ষ্য করেছেন? কারামতের নামে যেসব ভ্রান্ত বিশ্বাস ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ তাওহীদ পরিপন্থী শিরকি 'আক্বীদাহ' যা নবীদের মুজিযাহ কেও হার মানিয়েছে। একই সময়ে দুই জায়গায় অবস্থান করার থানভী কারামতের নামে যা প্রচার করা হয়েছে তা রাসূল সাঃ ২৩ বছরের অসংখ্য মুজেযায় একটি নমুনাও খুজে পাওয়া যায়না। রাসূল সাঃ একই সময় নিজ গৃহে অবস্থান করে কোন সাহাবীর রাঃ ঘরের ক্ষতিতে সাহায্য করেছেন মর্মে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়না। সাহাবা ত দূরের কথা স্বীয় প্রিয়তম স্ত্রী আয়িশাহ রাযীঃ এর ইফকের ঘটনায় দেখা যায়, হারিয়ে যাওয়া হারের খোজে তিনি ( একই সময় দু দিকে থেকে আয়িশার উপকার করতে পারলেন না) পুনরায় ফিরে যান। কিন্তু উস্ট্রচালক মনে করেন যে, আয়িশাহ হাওদার মধ্যে প্রবেশ করেছেন। যেহেতু তিনি অল্প বয়স্কা ও ওজনে হাল্কা রমনী ছিলেন, কাজেই হাওদা উটের পিঠে উত্তোলনের সময় চালক টের পাননি। পক্ষান্তরে রাসূল সাঃ ও মনে করেছেন যে, তাঁর বিবি আয়িশাহ রাযীঃ হাওদায় অবস্থান করছেন। গেয়েবের জ্ঞান না থাকার কারনেই ভ্রমবশত আয়িশাহ রাযীঃ কে পিছনে রেখে রাসূল সাঃ মদীনার পথে যাত্রা করেন।

    ReplyDelete
  53. পৃথিবীতে এমন কিছু পাপ
    আছে যা মানুষ
    ঐ পাপ না করেই পাপী।
    তার এমনি একটি পাপ হচ্ছে- কোন
    নারী যদি সুগন্ধি মেখে বাড়ীর
    বাইরে বের হয়, আর ঐ
    সুগন্ধি যদি কোন
    পুরুষের নাকে লাগে, অর্থাৎ কোন
    পর-পুরুষ
    যদি এটা বুঝতে পারে তাহলেই ঐ
    নারী একজন-
    পতিতা...!
    পতিতা...!!
    পতিতা...!!!
    অথচ সে বেশ্যাবৃত্তি করেই নি।
    তারপরেও সে এই পাপে লিপ্ত
    হিসেবে গণ্য হবে।
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
    আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
    ‘সুগন্ধি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে কোন
    মহিলা যদি তা ব্যবহার
    করে পুরুষদের
    সামনে যায়,
    তবে সে একটি বেশ্যা মেয়ে বলে
    পরিগণিত
    হবে।’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত
    নং ১০৬৫)।

    ReplyDelete
  54. কওমী Mufti Shamsuddoha (হাদিসের আলোকে প্রকৃত আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের) পোষ্টে আশুরা সম্পর্কে উপসংহারে লিখেছেন- " এ দিবস আমাদের কাছে বার্তা নিয়ে আসে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য কিভাবে জীবন দিতে হয়। কিভাবে হকের উপর অবিচল থেকে বাতিল মোকাবেলা করতে হয়। তাই আসুন আমরা হযরত হোসাইন রা. এর সত্যিকার আদর্শে আদর্শী হয়ে ইসলামের জন্য জীবন বিলিয়ে দেয়া শিখি। আর সারা দুনিয়ায় মজলুম মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হই। আল্লাহ আমাদের কবুল করে নিন। আমীন"।
    আমার কমেন্টঃ আশুরার ইবাদত কার সুন্নাহ? রাসুল (সঃ) এর মৃত্যু ১০ম হিঃ আর কারবালার ঘটনা ৬১ হিঃ। ইমাম হোসাইন(রাঃ) এর শাহাদাতের সাথে আশুরার ইবাদতের যোগসুত্র কি ধার্মীক না যৌক্তিক? আশুরা বিজয়ের; কারবালা পরাজয়ের। ইমাম হোসাইনের শাহাদাতের ঘটনা সারা বছর ধরে আলোচনা করতে কোন বাধা নাই কিন্তু আশুরার রোজা ৯ ও ১০ ই মুহররম ছাড়া অন্য কোন দিন রাখার সুযোগ নাই।হযরত উমর, উসমান, আলী (রাঃ আনহুম) এর শাহাদাতের দিনগুলির খবর কি কেউ রাখে? নাকি ইসলামে এ'সব দিনের কোন গুরুত্ব নেই? যদি থাকে সব টার-ই আছে আর যদি না থাকে কোনটারই নেই। সিদ্ধান্ত আপনাদের উপর।অপেক্ষায় রইলাম।

    ReplyDelete
  55. কওমী Mufti Shamsuddoha (হাদিসের আলোকে প্রকৃত আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের) পোষ্টে আশুরা সম্পর্কে উপসংহারে লিখেছেন- " এ দিবস আমাদের কাছে বার্তা নিয়ে আসে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য কিভাবে জীবন দিতে হয়। কিভাবে হকের উপর অবিচল থেকে বাতিল মোকাবেলা করতে হয়। তাই আসুন আমরা হযরত হোসাইন রা. এর সত্যিকার আদর্শে আদর্শী হয়ে ইসলামের জন্য জীবন বিলিয়ে দেয়া শিখি। আর সারা দুনিয়ায় মজলুম মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হই। আল্লাহ আমাদের কবুল করে নিন। আমীন"।
    আমার কমেন্টঃ আশুরার ইবাদত কার সুন্নাহ? রাসুল (সঃ) এর মৃত্যু ১০ম হিঃ আর কারবালার ঘটনা ৬১ হিঃ। ইমাম হোসাইন(রাঃ) এর শাহাদাতের সাথে আশুরার ইবাদতের যোগসুত্র কি ধার্মীক না যৌক্তিক? আশুরা বিজয়ের; কারবালা পরাজয়ের। ইমাম হোসাইনের শাহাদাতের ঘটনা সারা বছর ধরে আলোচনা করতে কোন বাধা নাই কিন্তু আশুরার রোজা ৯ ও ১০ ই মুহররম ছাড়া অন্য কোন দিন রাখার সুযোগ নাই।হযরত উমর, উসমান, আলী (রাঃ আনহুম) এর শাহাদাতের দিনগুলির খবর কি কেউ রাখে? নাকি ইসলামে এ'সব দিনের কোন গুরুত্ব নেই? যদি থাকে সব টার-ই আছে আর যদি না থাকে কোনটারই নেই। সিদ্ধান্ত আপনাদের উপর।অপেক্ষায় রইলাম।

    ReplyDelete
  56. দয় করে কওমীদের দেওয়া নিচের পোষ্টটির ব্যাখ্যা করুনঃ
    هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَلَا صَلَاةَ إِلَّا الْمَكْتُوبَةَ، إِلَّا رَكْعَتَيِ الصُّبْحِ "
    আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,(ফরজ)নামাযের ইকামত হয়ে যাওয়ার পর ফরয ব্যতীত আর কোন নামায নেই।তবে ফজরের দুই রাকাত (সুন্নাত)আছে।(সুনানুল কুবরা,বায়হাকী,হাদীস নং ৪২২৬)।

    ReplyDelete
  57. দয় করে কওমীদের দেওয়া নিচের পোষ্টটির ব্যাখ্যা করুনঃ
    هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَلَا صَلَاةَ إِلَّا الْمَكْتُوبَةَ، إِلَّا رَكْعَتَيِ الصُّبْحِ "
    আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,(ফরজ)নামাযের ইকামত হয়ে যাওয়ার পর ফরয ব্যতীত আর কোন নামায নেই।তবে ফজরের দুই রাকাত (সুন্নাত)আছে।(সুনানুল কুবরা,বায়হাকী,হাদীস নং ৪২২৬)।

    ReplyDelete
  58. কওমীদের এই পোষ্টটি কি সত্য হোয়ার কোন কারণ আছে?
    হিংসুকদের প্রতি চ্যালেঞ্জ..
    অবশ্যই ইমাম আবু হানিফা রহ. ৪০ বছর যাবত ইশার ওযু দ্বারা ফজর পড়েছেন এবং এক রাকাতে এক খতম কুরআন পড়েছেন। তিনি ৭ হ্জার বার কুরআন খতম করেছেন....
    (সিয়ারু আলামিন নুবালা)
    الكتاب : سير أعلام النبلاء - المؤلف : شمس الدين أبو عبد الله محمد بن أحمد بن عثمان بن قَايْماز الذهبي (المتوفى : 748هـ) المحقق : مجموعة من المحققين بإشراف الشيخ شعيب الأرناؤوط الناشر : مؤسسة الرسالة الطبعة : الثالثة ، 1405 هـ / 1985 م عدد الأجزاء : 25 (23 ومجلدان فهارس) (6/ 399) ( وَعَنْ أَسَدِ بنِ عَمْرٍو: أَنَّ أَبَا حَنِيْفَةَ -رَحِمَهُ اللهُ- صَلَّى العِشَاءَ وَالصُّبْحَ بِوُضُوْءِ أَرْبَعِيْنَ سَنَةً ..وَقَدْ رُوِيَ مِنْ وَجْهَيْنِ: أَنَّ أَبَا حَنِيْفَةَ قَرَأَ القُرْآنَ كُلَّهُ فِي رَكْعَةٍ. وَرَوَى: ابْنُ إِسْحَاقَ السَّمَرْقَنْدِيُّ، عَنِ القَاضِي أَبِي يُوْسُفَ، قَالَ: كَانَ أَبُو حَنِيْفَةَ يَخْتِمُ القُرْآنَ كُلَّ لَيْلَةٍ فِي رَكْعَةٍ.يَحْيَى بنُ عَبْدِ الحَمِيْدِ الحِمَّانِيُّ: عَنْ أَبِيْهِ: أَنَّهُ صَحِبَ أَبَا حَنِيْفَةَ سِتَّةَ أَشْهُرٍ. قَالَ: فَمَا رَأَيْتُه صَلَّى الغَدَاةَ إِلاَّ بِوُضُوْءِ عِشَاءِ الآخِرَةِ، وَكَانَ يَخْتِمُ كُلَّ لَيْلَةٍ عِنْدَ السَّحَرِ. وَيُرْوَى: أَنَّ أَبَا حَنِيْفَةَ خَتَمَ القُرْآنَ سَبْعَةَ آلاَفِ مَرَّةٍ. ) ومجلة البحوث الإسلامية - مجلة دورية تصدر عن الرئاسة العامة لإدارات البحوث العلمية والإفتاء والدعوة والإرشاد المؤلف: الرئاسة العامة لإدارات البحوث العلمية والإفتاء والدعوة والإرشاد عدد الأجزاء: 95 جزءا (أعلام/ 203) ومن أراد الوقوف عليها موسعا يجده في هذه المصادر (1)

    ReplyDelete