হাদিস ও সুন্নাহর পার্থক্য

হাদিস কি জাল হই ? বা নবী সাঃ এর কথা কি মিথ্যা হই?
নবীজির হাদিস কি সুন্নাহ >> আর ইমাম আবু হানিফা রহঃ মাযহাব কি ওয়াজিব
হাদিস ও সুন্নাহর পার্থক্য
হাদিস কি ?
হযরত মোহাম্মদ সাঃ যা করেছেন তাই হাদিস । হযরত মোহাম্মদ সাঃ যা করেছেন সেগুলো কোন ভাবে জাল বা দুর্বল বা মিথ্যা হতে পারে ? কখনই নই ।বর্ণনাকারি মিথ্যা হতে পারে ? কিন্তু হাদিস গুলো যখন সংকলন করা হয়েছে তখন দেখা গিয়েছে যাদের কাছ থেকে হাদিস গুলো সংকলন করেছে তাদের কেউ ছিল মিথ্যুক বা তাদের স্মরণ শক্তি ছিল দুর্বল।হাদিস বর্ণনা কারি কে রাবি বলা হই।
তাহলে বোঝা গেল হাদিস সঙ্কলের সময় হতে রাবি এর  মিথ্যা বা তাদের স্মরণ শক্তি দুর্বল থাকার কারনে ইসলামের স্বর্ণ যুগ হতে এইটা প্রচলিত।কিছু হাদিস জাল,যইফ কিছু হাদিস হাসান কিছু হাদিস সহি বলে উল্লেখ হয়েছে।
আহলে সুন্নাহ অয়াল জামাতের আকিদা হল হাদিস ও সুন্নাহ আলাদা ।লক্ষ্য লক্ষ্য হাদিস ও সুন্নাহ রয়েছে এখন সব হাদিস ও সুন্নাহ একজনের পক্ষে মানা কি সম্ভব ? একজনের পক্ষে সকল হাদিস ও সুন্নাহ মানা অসম্ভব হতে পারে কিন্তু হাদিস ও সুন্নাহর পার্থক্য করা এক কথা নই।
তাদের মাজে নামাজের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক হাদিস ও সুন্নাহ গুলো মানতেই দেখা যাই না বরং বিরোধিতা করে।কিন্তু উনারা দারিয়ে প্রসাব আর ৯বিয়ে তে খুব আগ্রহী।তারা এমন ভাবে বলছে যেটাকে উস্কানি ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না।
একদল আলেম হাদিস ও সুন্নাহর পার্থক্য করেছ এই পার্থক্য কি মুসলিম উম্মাহর জন্য ভাল ?
উনি কেন বলছে এরকম ? কারন তাদের একজন আলেম এইটা ভাগ করে দিয়েছে
শরহে সহি আল বুখারি - মাওলানা নোমান আহমেদ



একজন ভাই বলছে হাদিস ও সুন্নাহর মাজে পার্থক্য আছে।এবং কিছু হাদিস আছে যেগুলো আমারদের জন্য হারাম।
উনি যদি অসুস্থ হয়ে পরেন এবং যদি বসার ক্ষমতা হারান তাহলে উনি দারিয়ে প্রসাব করবে না কারন এই হাদিস উনার জন্য হারাম।
তাহলে হাদিস গুলো যখন সঙ্কলন করা হয়েছে তারা কি হাদিস ও সুন্নাহ আলাদা ভাবে বর্ণনা করেছে ? সাহাবী রাঃ,তাবেইনরা রহঃ তাবে তাবেইন রহঃ যারা ছিল তারা ও ৪ ইমাম কি হাদিস ও সুন্নাহ আলাদা ভাবে বর্ণনা করেছে ? তাহলে এইটা আপনারা কোথা হতে পেলেন ? আপনাদের এত সাহস কি করে হল ? হাদিস ও সুন্নাহর মাজে পার্থক্য করার কারন ছিল নিজ মাযহাব কে রক্ষা ?
আর ফেতনার যুগে একজন হাদিস ও সুন্নাহর পার্থক্য করল তা কি করে মেনে নিবে মানুষ ?

যখন বলা হচ্ছে হাদিস ও সুন্নাহর মাজে পার্থক্য নেই
তখন তারা বলে উঠে হাদিস  যদি মানতে হই তাহলে বুখারিতে আছে দারিয়ে প্রসাব করা ,জুতা পরে নামাজ পড়া ,নবী সাঃ এর ৯ বিয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি।
দারিয়ে প্রসাব করা পুরো হাদিস বলে না
উমর রাঃ ও যায়েদ ইবনে তাবিত রাঃ বলেছেন দারিয়ে প্রসাব করা যায়েয আছে কিন্তু শর্ত আছে অসুস্ততা বা ময়লা আবর্জনা ইত্যাদি
হুদাইফা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বললেন রাসুল সাঃ একবার কিছু লোকের সাথে এক বাগানে গেলেন বাগানের এক পাসে তিনি দারিয়ে প্রসাব করলেন।বুখারি ও মুসলিম

আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুল সাঃ এমন করেছেন কারন তিনি বসতে অক্ষম ছিলেন।
উপরের হাদিস দারিয়ে প্রসাব করার ক্ষেত্রে শর্ত আছে

জুতা পরে নামাজ পড়া
এরকম সময় আসতে পারে মানুষ জুতা পরে নামাজ  পরতে পারে কারন নামাজের স্থান পাবে না।আবার দেখা যায় অনেক শহরে নামাজের সময় মানুষ মসজিদে নামাজ পরার স্থান পাই না ফলে তারা রাস্তা ঘাট দিয়ে নামাজে দারিয়ে ওই মসজিদের জামাতের সাথে নামাজ আদায় করতে দেখি থাকি ।আর জানাজার নামাজে আমাদের দেশে দেখা যাই জুতার উপর দারিয়ে নামাজ পরছে।
জুতা পরে নামাজ পড়া শর্তের ব্যাপার আর মসজিদে জুতা পরে নামাজ পরা নিশিদ্ধ
ইসলাম আবার  মক্কা মদিনায় ফেরত যাবে
হযরত মোহাম্মদ সাঃ বলেছেন
ইসলাম যেখান থেকে শুরু হয়েছে সেখানে আবার সেই দুই মসজিদে ফিরে যাবে যেভাবে সাপ তার গর্ত মধ্যে ফিরে হামাগুড়ি দেয় – সহি মুসলিম ২৭০

নবী সাঃ এর ৯ বিয়ে
উনারা নিজেরাই বলে থাকে নারীদের সংখ্যা এত হবে যে এক এক জন পুরুষ থাকবে আর ৫০জন নারি থাকবে
(আমরা বলছি না ৯টা বিয়ে করতে কারন আল্লাহ বলেছেন আমাদেরকে ১টা বিয়ে করতে আর ৪টা বিয়েতে কঠিন শর্ত রয়েছে

আমরা জানি হাদিস ও সুন্নাহ কত প্রকার ?
৩প্রকার
সুন্নতে মুয়ক্কাদা
সুন্নতে গাইরে মুয়ক্কাদা
মুস্তাহাব
উনারা বলছে হাদিস ও সুন্নাহ আলাদা

তাহলে এখন প্রশ্ন হাদিস কত প্রকার ?
সহি ,হাসান ,জাল ও জইফ ?

অনেক হাদিস আছে যেগুলো আপনি আমল করতে পারছেন না এজন্য হাদিস গুলো কি হারাম ?
আর এমনও আছে জোরে আমিন বলা ,রাফে ইদাইন করা আমল যেগুলো আপনারা করেন না কারন এই গুলো আপনাদের কাছে হারাম।

উনারা এমন বলছে কোরআনে আছে মুসা আঃ একবার খিযির আঃ এর কাছে গেল
তাহলে আপনারাও খিযির আঃ এর কাছে যান 

সালাফি মতে
হাদিস গুলো যখন আমরা আমল করব তখন হাদিস গুলো কি হয়ে যাবে ?
সুন্নাহ হয়ে যাবে।