রাফে ইদাইন

সিয়া সত্তার সকল হাদিস এর বইতে রাফে ইদাইন এর হাদিস পাবেন।
এক রাফে ইদাইন দেওয়া মুসলিম আরেক রাফে ইদাইন বাদে মুসলিম এর মধ্য আলাপ

রাফে ইদাইন বাদে মুসলিম – ভাই আপনি নামাজে রুকু তে যাওয়ার আগে রুকু থেকে উঠে দুই হাত তোলেন কান?
রাফে ইদাইন দেওয়া মুসলিম – ভাই আমি হাদিসের বইতে পড়েছি নবী সাঃ এইভাবে নামাজ পড়তেন।
রাফে ইদাইন বাদে মুসলিম – ভাই আমি শুনেছি সেই সময় লোকেরা মূর্তি পুজা করত ।যখন ইসলামের প্রসার শুরু হল ,তখন যারা নামাজ পড়ত তারা বগলে মূর্তি রেখে নামাজ পড়ত যেন বাপ দাদার ধর্ম পালন হল এক সাথে মোহাম্মদ সাঃ এর ধর্ম পালন হয় ।তাই নবী সাঃ হাত উচু করত যাতে মূর্তি বগল থেকে পড়ে যায়।
রাফে ইদাইন দেওয়া মুসলিম – আচ্ছা ভাই আপনি যখন রুকুতে বা সিজদাই যাবেন তখন কি আপনার হাত বগল থেকে সরে যাবে না?
রাফে ইদাইন বাদে মুসলিম – ………………………………হ্যাঁ যাবে!
রাফে ইদাইন দেওয়া মুসলিম – তাহলে মূর্তি বগল থেকে সরানোর জন্য হাত উঠানর কি দরকার মূর্তি তো রুকুতে বা সিজদাই যাওয়ার পূর্বে বগল থেকে পরে যাবে ঠিক?
রাফে ইদাইন বাদে মুসলিম – জি মানে ভাই ঠিক।
রাফে ইদাইন দেওয়া মুসলিম – ভাই আপনি কাদের উপর এই অপবাদ দিচ্ছেন? সাহাবী রাঃ দের?যারা এই উম্মতের শ্রেষ্ঠ উম্মত? আপনি আপনার মাযহাব বাচাতে সাহাবিদ রাঃদের নিচে নামিয়ে দিলেন নায়ুযুবিল্লাহ।
রাফে ইদাইন বাদে মুসলিম – না মানে ভাই …………….আমি অপবাদ দিচ্ছি না ।
রাফে ইদাইন দেওয়া মুসলিম – ভাই ইদের নামাজের শুরুতে প্রথমটা তাকবীর পরের গুলো কি?
রাফে ইদাইন বাদে মুসলিম – পরের গুলোর নাম জানি না!
রাফে ইদাইন দেওয়া মুসলিম – রাফে ইদাইন । 

 
 

অসাহাবি মানে সাহাবী না >> অসাহাবি ফিকহী দক্ষতার দিক দিয়ে কোন সাহাবির সমান ও তার চেয়ে বড় হতে পারে (নাউযুবিল্লাহ) 
সালাফিদের আকিদা কোন বাক্তি সাহাবিদের সমান মর্যাদাবান হতে পারবে না কিন্তু মানুষ তাদের অনুসরন অনুকরন করার চেষ্টা করতে থাকবে। যতই আমল আপনি করেন সাহাবিদের সমান মর্যাদাবান হতে পারবে না।

 
মুসলিম শরিফে একটা হাদিস রয়েছে জাল আমাদের দেশের প্রচলিত মুসলিম শরিফে এইটা পাবেন রাফে ইদাইন না করার পক্ষে একটা জাল হাদিস  এইটারে তারা দলিল দিয়ে থাকে  >> এই জন্য তাদের লেখক বলে দিচ্ছে সুতরাং এ হাদিসটি দ্বারা হানাফিদের দলিল পুরনাঙ্গ না হলেও অবশ্যই এক পর্যায়ে তাদের মাযহাবের সমর্থন হয়েছেন।
একই কাজ কথিত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত জোরে আমিন এর বেলাও দলিল দিয়ে থাকে।